ছবি : প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার তাণ্ডবে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে বিশ্বজুড়ে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৬ হাজার। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে এক হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনায় মৃত্যু হওয়া রোগীকেও অন্য কারণে মারা গিয়েছেন বলে উল্লেখ করার অভিযোগ উঠেছে কোনও কোনও জায়গায়। সেখানে ঠিক উলটো বিষয় ঘটল দিল্লিতে। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুনের পর তাঁকে করোনা আক্রান্ত বলে চালানোর চেষ্টা করল স্ত্রী। পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির অশোক বিহারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক বিহারে একটি ছোট দোকান চালাতেন ৪৬ বছরের শরৎ দাস। আর কাছেই একটি বাড়িতে ৩০ বছরের যুবতী স্ত্রী অনিতাকে নিয়ে বসবাস করতেন। গত ২ মে সকালে উঠে অনিতা প্রতিবেশীদের জানায় গতকাল রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন শরৎ। এরপরই ভয় পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশকে খবর দেন তাঁদের প্রতিবেশীরা। পুলিশকর্মীরা এসে অনিতার কাছে তার স্বামীর চিকিৎসার কাগজ দেখতে চান। কোভিড পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে সরকারি কাগজ দেখতে চান। কিন্তু, এই সংক্রান্ত কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি অনিতা। উলটে প্রতিবেশীরা অভিযোগ জানায়, শরতের চেহারা অত্যন্ত ভাল ছিল। আর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও কোনও খবর তাঁরা পাননি। তাই বিষয়টি তাঁদের কাছে সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে দিল্লির উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের ডিসিপি বিজয়ান্তা আর্য জানান, মৃতের স্ত্রীর কাছে প্রথমে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সে কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি। পাশাপাশি তার কথার মধ্যেও অসংগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। বিষয়টিতে সন্দেহ হওয়ায় মৃতের শেষকৃত্য বন্ধ করে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। আর তার ফলাফলে জানা যায় যে শরৎকে শ্বাসরুদ্ধ করে মারা হয়েছে। এরপরই অনিতাকে টানা জেরা করতে থাকেন তদন্তকারীরা। তার ফলে ভেঙে পড়ে সে। পুলিশকে জানায়, স্থানীয় এক যুবক সঞ্জয়ের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল তার। কয়েকদিন আগে বিষয়টি জানতে পেরে অশান্তি শুরু করেন শরৎ। তার জেরেই সঞ্জয় ও সে মিলে গত ১ মে রাতে একটি কম্বল চাপা দিয়ে স্বামীকে খুন করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.