Advertisement
Advertisement
Kshatriya MLAs

উত্তরপ্রদেশে ক্ষত্রিয়দের নতুন দল? ৪০ বিধায়কের ‘সমাগমে’ হৃদকম্প বাড়ছে বিজেপির, চিন্তায় অখিলেশও

'দল পরে, আগে জাতি', এই মন্ত্রেই একজোট হচ্ছেন ক্ষত্রিয়রা।

40 Kshatriya MLAs' 'family get-together' in Lucknow sparks political debate
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 14, 2025 9:51 am
  • Updated:August 14, 2025 9:51 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল পরে, আগে জাতি। নয়া মন্ত্রে একত্রিত হচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের ক্ষত্রিয় বিধায়করা! উদ্দেশ্য, দলমত নির্বিশেষে এমন এক মঞ্চ তৈরি করা যাতে ক্ষত্রিয়দের স্বার্থ কেউ উপেক্ষা করতে না পারে। একজোট হওয়ার লক্ষ্যে বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমদিনই প্রায় ৪০ জন ক্ষত্রিয় বিধায়ক, বেশ কিছু বিধান পরিষদ সদস্য এবং বহু প্রাক্তন বিধায়ক লখনউয়ের এক হোটেলে ‘গেট টুগেদারে’ মিলিত হলেন।

Advertisement

ওই নৈশভোজের মূল হোতা ছিলেন বিজেপি বিধায়ক রামবীর সিং এবং বিজেপির এমএলসি জয়পাল সিং ব্যাস। প্রায় জনা চল্লিশেক বিধায়ক ওই নৈশভোজে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন। এর বেশিরভাগ বিজেপির। তবে সমাজবাদী পার্টির জনাকয়েক বিধায়ক এবং ছোটখাটো নেতাও নৈশভোজে ছিলেন। আয়োজকদের দাবি, এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি মিলনমেলা। এখানে সমস্ত ক্ষত্রিয় নেতা এবং তাঁদের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কোনও দল বা মতের বিভেদ করা হয়নি। এটাকে পারিবারিক মিলনক্ষেত্র বলা চলে। ওই সমাগমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কুটুম্ব’। সব দলের নেতারাই উপস্থিত ছিলেন।

ওই সমাগম কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখবে অখিলেশ যাদবকে। তাঁর দলের কিছু মাঝারি নেতা ওই ‘কুটুম্বে’ অংশ নেন। তবে অখিলেশের থেকে ক্ষত্রিয়দের একজোট হওয়া অনেক বেশি চিন্তায় রাখবে বিজেপিকে। কারণ সূত্র বলছে, সব ক্ষত্রিয় বিধায়কের একজোট হওয়াটা মোটেই অরাজনৈতিক উদ্দেশে নয়। ওই বিধায়করা নিজেদের রাজনৈতিক শক্তি এবং একতার প্রদর্শন করতে চেয়েছেন। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের সব ক্ষত্রিয় নেতাকে নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে বলে খবর। তাঁদের উদ্দেশ্য, দরকারে শুধু আলাদা করে ক্ষত্রিয় এবং সবর্ণদের রাজনৈতিক দল তৈরি করতে হবে, যাতে উচ্চবর্ণের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।

বিজেপির চিন্তার কারণ, এই ক্ষত্রিয় এবং সবর্ণরাই গেরুয়া শিবিরের মূল ভোটব্যাঙ্ক। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালার এক মন্তব্য ক্ষেপিয়ে তুলেছিল ক্ষত্রিয় সমাজকে। যার ফল বিজেপি পেয়েছিল রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের বহু আসনে পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার জাতিগত জনগণনায় ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়ায় ক্ষত্রিয় সমাজ নিজেদের উপেক্ষিত মনে করা শুরু করেছে। তাদের ধারণা, গেরুয়া শিবির তাঁদের স্বার্থরক্ষা করছে না। তাই নিজেদের রাজনৈতিক শক্তি দেখিয়ে দেওয়া দরকার। ক্ষত্রিয়দের এই মতিগতি শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, গোটা উত্তর ভারতেই বিজেপিকে ধাক্কা দিতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই লখনউয়ের সমাগম চিন্তা বাড়াবে যোগী, মোদিদের।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ