প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রতি তিনজনের একজন (৩২ শতাংশ) বিবাহিত মহিলা কর্মরতা। আবার সেই সঙ্গেই, দেশের ৪৪ শতাংশ মহিলা একা একা এমনকী, বাজারে যাওয়ারও অনুমতি পান না! ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের নয়া রিপোর্টে উঠে এল দেশের মহিলাদের অবস্থানের এমনই আশ্চর্য বৈপরীত্যের ছবি।
গত সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়েছে ওই রিপোর্ট। প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ওই রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে আরও এক তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, দেশের প্রতি পাঁচজন মহিলার চারজন (৮২ শতাংশ) সরাসরি স্বামীকে যৌনতায় (Intercourse) ‘না’ বলতে পারেন। এই তালিকায় শীর্ষে গোয়া (Goa)। সেখানে এই হার ৯২ শতাংশ। সবচেয়ে কম অরুণাচল প্রদেশে। সেখানে হার ওই ৬৩ শতাংশ।
জানা গিয়েছে, দুটি স্তরে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৭ জুন থেকে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত তা চালানো হয়েছিল ১৭টি রাজ্য ও ৫টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এদিকে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আরেকটি সমীক্ষা করা হয় ১১টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।
সাম্প্রতিক ভারতে বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ নামের শব্দবন্ধটি। কোনও স্বামী তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জোর করে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে এই সমীক্ষার ফলাফল বুঝিয়ে দিচ্ছে, বিয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে পুরুষ ও নারী, উভয় তরফেই যে পরিবর্তন এসেছে তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
সমীক্ষায় কেবল নারীদেরই নয়, পুরুষদেরও প্রশ্ন করা হয়েছে। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, স্ত্রী যদি যৌন মিলনে অসম্মত হন, তাহলে তাঁদের কি করা উচিত? চারটি অপশন তাঁদের দেওয়া হয়। স্ত্রীর উপরে রেগে যাওয়া, টাকাপয়সা না দেওয়া, জোর করেই সঙ্গম করা কিংবা অন্য কারও সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করা। ৭২ শতাংশ পুরুষই জানিয়েছেন, তাঁরা এই চারটির কোনও অপশনেই সম্মত নন। প্রায় সব রাজ্যেই এই ধরনের বিশ্বাসী মানুষ আছেন। অন্যদিকে ৬ শতাংশ পুরুষের দাবি, তাঁদের অধিকার রয়েছে এর মধ্যে যে কোনও একটি পথ বেছে নেওয়ার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.