Advertisement
Advertisement
Jharkhand

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঝাড়খণ্ড, রাজ্যজুড়ে দুই শিশু-সহ মৃত ৫, একাধিক জেলায় লাল সতর্কতা

বিপদসীমার উপর বইছে একাধিক নদীর জল।

5 Killed, 8 Injured Amid Heavy Rainfall In Jharkhand
Published by: Rakes Kanjilal
  • Posted:August 23, 2025 8:10 pm
  • Updated:August 23, 2025 8:32 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঝাড়খণ্ড। দুর্যোগের জেরে সে রাজ্যে দুই শিশু ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত একাধিক। ১ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। সরাইকেলা-খাসওয়ান জেলায় বৃষ্টিতে কাঁচাবাড়ি ভেঙে এক মহিলা ও তাঁর ৭ বছরের ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই জেলাতেই দেওয়াল ভেঙে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। ওই দুর্ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

Advertisement

আহতর সরাইকেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাজনগর ব্লকের দান্ডু গ্রামে দুর্ঘটনায় আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন। চাতরা জেলায় শুক্রবার সিয়ারি নদীতে এক দম্পতি ভেসে গিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনায় নিহত স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার করা গেলেও, স্ত্রীর এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। পাশাপাশি বৃষ্টি সংক্রান্ত অন্য় দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।

আবহাওয়া দপ্তরের তরফে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত লাল সতর্কতা রয়েছে পালমৌ, গারওয়া ও ছাতরা জেলায় ।পাশাপাশি লতেহার, রাঁচি, খুঁটি, লোহাড়গা, সরাইকেলা-খারসওয়ান এবং পূর্ব-পশ্চিম সিংভূম জেলাতেও কমলা সতর্কতা জারি আছে।

রাঁচির আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক বাবুরাজ পি পি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “রাজ্যে নিম্নচাপের প্রভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হবে। রাজ্যে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রাঁচিতে নির্মীয়মাণ রেল ওভারব্রিজের দু’পাশের কংক্রিটের স্ল্যাব ভেঙে পড়ায় জাতীয় সড়ক-৪৩-এ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি ব্রাম্বে বাজার এলাকায় জাতীয় সড়ক-৩৯-এ জল জমার কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। কয়েকটি সড়কেও বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গায় নিচু এলাকার বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জামশেদপুরে মাঙ্গো সেতুর কাছে সুবর্ণরেখা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। আদিত্যপুর সেতুর কাছে খরকাই নদীও বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। কোদারমা জেলায় তিলাইয়া বাঁধের জল বিপদসীমায় পৌঁছালে আটটি গেট খুলে দেওয়া হয়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ