সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। মঙ্গলবার রাজ্যের নোনি জেলায় কুকি সম্প্রদায়ের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৫ বিচ্ছিন্নতাবাদীর। মৃত ৫ যুবক চিন কুকি মিজো আর্মি (CKMA) সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। কুকি ন্যাশনাল আর্মি (UKNA) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ২ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল এই সংগঠন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গুলির লড়াই চলে জেলা সদর দপ্তর নুংবা থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে দেইভেংজাং গ্রামের জঙ্গলে। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা বলেন, “এই অঞ্চলটি মূল এলাকা থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন। এখানে যাওয়ার জন্য সড়ক পথ বা মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই ফলে সংঘর্ষের খবর অনেক দেরিতে আসে পুলিশে কাছে। এলাকায় পৌঁছন যথেষ্ট কঠিন। খবর পাওয়ার পর ওই এলাকায় আমরা নিরাপত্তাবাহিনীর একটি টিম পাঠিয়েছি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।” সূত্রের খবর, যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তারা সকলেই UKNA গোষ্ঠীর সদস্য। মৃতদের নাম, অ্যালেক্স, সেইবোই, পংবা, রিঙ্গো এবং র্যাম্বো।
উল্লেখ্য, মণিপুরের কুকি জনগোষ্ঠীর জন্য একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে সেখানকার সংগঠনগুলির সঙ্গে ‘সাসপেনশন অফ অপারেশনস’ (SOO) চুক্তি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একজন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে সাক্ষরিত হয় এই চুক্তি। তবে ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি ও চিন কুকি মিজো আর্মি কেউই এই চুক্তিভুক্ত নয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ভারত মায়ানমার সীমান্তের আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরেই এই সংঘর্ষ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মেতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে জাতিগত হিংসায় একেই উত্তপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে চলতে এই হিংসায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৬০,০০০ এরও বেশি ঘরছাড়া হয়েছেন। সেনা নামিয়ে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি সবকিছু। এরই মাঝে এই হিংসায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.