সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ত্রিপুরায় (Tripura) গ্রেপ্তার ৫ তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিক এবং বিজেপি কর্মীদের মিছিলে হামলা চালিয়েছিল তারা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তার করে আমবাসা থানার পুলিশ। এখনও পলাতক দুই অভিযুক্ত। তবে এই গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরায় ফের রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের (TMC) দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের দলের কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও সে কথা মানতে নারাজ বিজেপি। পুলিশের দাবি, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত পাঁচজনই তৃণমূল কর্মী। নাম তমাল বসু, উত্তম কলই, মিটন বিশ্বাস, পঙ্কজ দেবনাথ, নিতু মালাকার। তাদের পরিবারের দাবি, রাতে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের তুলে নিয়ে গিয়েছে। এদিন তাদের আদালতে তোলা হলে পাঁচজনকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতে থাকতে হবে।
এদিন সকালেই ত্রিপুরায় পৌঁছছেন বাংলার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। আগরতলায় পৌঁছে ধৃতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এর পরই বাংলার আইনমন্ত্রী জানান, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে দলীয় কর্মীদের। তাঁদের দাবি, অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “পুলিশি সন্ত্রাস হচ্ছে আমবাসায়। যারা মারল তাদের ধরল না। জখম তৃণমূল কর্মীরা। তাদেরই ধরল পুলিশ।” তিনি আরও জানান, “রাত থেকে আরও অন্তত ৫ কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। বিজেপির আক্রমণে পুলিশকর্মীর চোখ জখম। অথচ তারা মুক্ত। এর থেকে স্পষ্ট বিজেপি ভীত।” প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হামলা এবং গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে আইনি পথে হাঁটতে পারে ঘাসফুল শিবির। সেই উদ্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব।
যদিও তৃণমূলের অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য জানান, “গাঁজার ব্যবসা বন্ধ করতে সক্রিয় এ রাজ্যের সরকার। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের নামে গাঁজা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এবার তাদের যদি তৃণমূল নিজেদের লোক বলে দাবি করে, তাহলে কিছু বলার নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.