সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে নৃশংসভাবে বাঘ খুন! গলা কেটে, দাঁত উপড়ে, ডোরা-কাটা চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে, চার পায়ের পাতা কেটে হত্যা করা হয়েছে ওই পূর্ণবয়স্ক বাঘটিকে। বৃহস্পতিবার ভোরে সে রাজ্যের গোলাঘাট জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। বাঘপ্রেমী বণ্য়প্রাণ বিষয়ক সংস্থা ‘শের’ নিহত বাঘের ভিডিও পোস্ট করেছে। যা দেখে আঁতকে উঠছেন বণ্যপ্রাণপ্রেমী সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন হল হত্যাকারী কে?
পুলিশ ও বন দপ্তরের আধিকারিকদের অনুমান, জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বাঘটির। মানুষখেকো ভেবে আতঙ্ক থেকেই হত্যাকাণ্ড। খুমতাই এলাকার ডুমিখিয়া গ্রামের কাছে মেলে বাঘটির দেহ। গোলাঘাট বিভাগের ডিএফও গৌণদীপ দাস বলেন, “সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ খবর পাই গ্রামবাসীরা একটি বাঘের উপর হামলা চালিয়েছে। বনকর্মীদের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।” যদিও ততক্ষণে বাঘটিকে নারকীয় কষ্ট দিয়ে হত্যার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ঠিক এখানেই প্রশ্ন, গ্রামবাসীরা লাঠিপেটা করে বাঘ মারলে তার দাঁত-নখ-চামড়া উপড়ে নেবে কেন? তাহলে কি চোরাশিকারি খুন করেছে বনের রাজাকে? চোরাই বাজারে বাঘের দাঁত, নখ ও চামড়ার চড়া দাম।
এই বিষয়ে বাঘ বিশেষজ্ঞ জয়দীপ কুণ্ডু বলেন, “যদি সাধারণ জনতাই বাঘ মেরে থাকে তাহলে দাঁত, নখ, গোঁফ, চামড়া কাটবে কেন? তার মানে হয় চোরা শিকারির কাজকে গণপিটুনির বলে তকমা দেওয়া হচ্ছে, অথবা গণপিটুনিতে বাঘের মৃত্যুর পর কেউ বা কারা ঠান্ডা মাথায় এই কাজ করেছে।” জয়দীপের সাফ কথা, “সাধারণ মানুষ বাঘ মারলে বাঘের গোটা শরীর মিলত।” তাহলে কি এর পিছনে পরিকল্পিত মাথা কাজ করছে? বাঘ বিশেষজ্ঞ বক্তব্য, “সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। অসমে তো নতুন করে বাঘ আসেনি। সেখানেও যদি বাঘকে পিটিয়ে মারা হয়, তাহলে তো মানুষ সচেতন করতে পারিনি আমরা! অনেক খামতি রয়েছে, এখনও অনেক কাজ বাকি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.