Advertisement
Advertisement
দিল্লি হিংসা

আইবি কর্মীর খুনে তাহির হোসেনের বিরুদ্ধে এফআইআর, দল থেকে সাসপেন্ড করল আপ

আচমকা উধাও আপ নেতা।

Aap leader Tahir Hussain was suspended due an FIR
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:February 28, 2020 9:23 am
  • Updated:May 18, 2020 8:06 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ২ থেকে ৪ ঘণ্টা ধরে আনুমানিক ৪০০টি কোপ পড়েছিল ২৬ বছরের আইবি কর্মী অঙ্কিত শর্মার(Ankit Sharma) দেহে। ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল অঙ্কিতের অন্ত্র। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে যার নাম উঠে এল তিনি হলেন আপ নেতা তাহির হোসেন (Tahir Hussain)। ঘটনার জেরে তাহিরকে সাসপেন্ড করা হল দল থেকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাহির এবং অন্যান্য অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুন, অগ্নিসংযোগ এবং সংঘর্ষের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের তদন্ত প্রমাণ ও ক্লিনচিট না পাওয়া পর্যন্ত তাহির সাসপেন্ড থাকবেন আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) সদস্যপদ থেকে।

Advertisement

তিনদিন ধরে চলা উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসায় বলি হন অঙ্কিত শর্মা। মঙ্গলবার জাফরাবাদে আপ নেতা তাহির হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন একটি নর্দমা থেকে আইবি কর্মী অঙ্কিত শর্মার দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ি ফেরার সময় তাঁর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। বুধবার অঙ্কিত শর্মার দেহ উদ্ধারের পরেই, তাঁর বাবা তথা আইবি কর্মী রবীন্দ্র শর্মা তাহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি জানান, “তাহির হুসেনের অনুগামীরাই আমার ছেলেকে খুন করেছে। মারধরের পর অঙ্কিতকে গুলি করা হয়েছে।” ঘটনার তদন্তে অঙ্কিত শর্মার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত তাহির হোসেন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “অঙ্কিতের মৃত্যুর সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। আমি নিজেই আক্রান্ত।”

তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, “এই হিংসা ছড়ানোর কাজে যারাই জড়িত থাকবেন তারা কেউই রেয়াত পাবেন না। এমনকি তার নিজের দলের কেউ হলেও নয়।” মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা যায়, একটি বাড়ির ছাদ থেকে বাড়ির নিচে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর পাথর ছোঁড়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে এটি তাহিরের বাড়ি। ভিডিওয় মুখ ঢেকে লাঠি, পাথর, গুলি এবং পেট্রল বোমা নিয়ে যাওয়া ছেলেদের দলে তাহির হোসেনকেও দেখা যায়। তাঁর বাড়ির ছাদ থেকে পেট্রোল ছোঁড়ারও অভিযোগ রয়েছে। তাহির অবশ্য এই ভিডিওটির কথাও অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, “২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশের সামনেই নিরাপদ জায়গায় চলে যাই, এরপর আর বাড়ি ফিরিনি।”

[আরও পড়ুন:পাকিস্তানের জেলেই অভিনন্দনের পাঁজর ভেঙেছিল! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]

এর আগে, অঙ্কিত শর্মার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। কপিল মিশ্রর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী এবং তাহির হোসেনের ফোন কলের রেকর্ড দেখলেই অঙ্কিত শর্মার মৃত্যুতে তাঁদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে।” কেজরিওয়াল দাবি করেন, “হিংসায় জড়িত হওয়ার কাজে জড়িত থাকলে তাকে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া উচিত।সেখানে রাজনীতির রং দেখা উচিত নয়।”

[আরও পড়ুন: দিল্লির অশান্তিতে পুলিশ ‘নিষ্ক্রিয়’, অমিত শাহকে চিঠি অকালি দলের সাংসদের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement