Advertisement
Advertisement
Vice Presidents Election

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিল বিজেপি! ‘ক্রস ভোট’ নিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক

তৃণমূলের সব সাংসদ ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন, জানালেন অভিষেক।

Abhishek Banerjee attacks BJP over Vice Presidents Election

ফাইল ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 10, 2025 5:20 pm
  • Updated:September 10, 2025 5:20 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ভোট দেন শুধু নির্বাচিত সাংসদরা। ভোটের আগেই বিজেপির নিশ্চিত ছিল। অথচ সেই নির্বাচনেও টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিল বিজেপি! বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের অভিযোগ, বিজেপি একেক জন সাংসদের ভোট কিনতে ১৫-২০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করেছে।

Advertisement

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর জয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। খাতায়কলমে শাসকজোট এনডিএ-র পক্ষে ছিল ৪২৭টি ভোট। জোটসঙ্গীদের পাশাপাশি অতিরিক্ত ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১টি ভোট পেয়েছে এনডিএ শিবির। সবমিলিয়ে এনডিএ প্রার্থীর ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৪৩৮টি। সেখানে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় রাধাকৃষ্ণণ ভোট পেয়েছেন ৪৫২টি। হিসেবে মিলছে না ১৪টি ভোটের। অন্যদিকে বিরোধী প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন মাত্র ৩০০ ভোট। অথচ বিরোধী শিবিরের ৩২১ ভোট পাওয়ার কথা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ক্রস ভোট হয়েছে কী?

বুধবার এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “এটা বলা মুশকিল যে ক্রস ভোটিং হয়েছে, নাকি বিরোধী শিবিরের ভোটগুলি বাতিল হয়েছে।” অভিষেক মেনে নিয়েছেন, ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা ছিলই। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা বলছেন, “আমার বিশেষ করে মনে হয়, কয়েকটা দল রয়েছে যেখানে বিজেপি সরাসরি হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে আম আদমি পার্টির মতো দলের সাংসদরা তাঁদের নেতাকেও মানছেন না। স্বাতী মালিওয়ালের মতো সাংসদরা নামেই আপ, আসলে বিজেপিকেই সমর্থন করে।” তবে অভিষেক দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সব সাংসদ ভোট দিয়েছেন। এবং সকলেই ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।

অভিষেকের অভিযোগ, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও ভোট কেনার চেষ্টা হয়েছে। টাকা দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কেনার চেষ্টা করেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতার কথায়,”বিজেপি টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিল ভোট কিনতে। আমি চার-পাঁচ জনের সঙ্গে কথা বলে আমি যা বুঝেছি তাতে একেক জনকে কিনতে প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকা খরচ করেছে। বিক্রি হয় পণ্য বা দ্রব্য। যারা ভোটে নির্বাচিত হয়ে মানুষের কথা বলার জন্য সংসদে গিয়েছেন, তাঁরা বিক্রি হতে পারে। জনপ্রতিনিধি বিক্রি হতে পারে। কিন্তু মানুষের আবেগ বিক্রি হয় না।” অভিষেক মনে করিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে অতীতের একাধিক নির্বাচনে বিজেপি এভাবেই টাকার খেলায় নেমেছিল। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতার বক্তব্য, “বিজেপি টাকার খেলায় নেমেছে সেটা আমরা আগেও দেখেছি। বাংলার বিধানসভায় দেখেছি। ২০২৪-এও বাংলায় ভোটের আগের দিন পোলিং এজেন্ট কিনতে হাজার হাজার টাকা খরচ করেছে। মানুষের ভোট কিনতে টাকা ঢেলেছে। বাংলার মানুষ ওদের থেকে টাকা নিয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। বাংলার মানুষ জানে, কীভাবে উপযুক্ত জবাব দিতে হয়।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ