সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভোটচুরি’ নিয়ে নতুন করে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি দাবি করেছেন, কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে ৬০০০ ‘ভোটচুরি’র চেষ্টা হয়েছে। শুরুতে রাহুলের সেই অভিযোগ ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পরে আংশিকভাবে সেই অভিযোগ মেনে নেওয়া হয় কমিশনের তরফে। এবার পালটা পদক্ষেপ করা হল।
এবার থেকে অনলাইনে আবেদন করে ভোট মুছতে চাইলে, ভোট নথিভুক্ত করাতে চাইলে বা কোনওরকম সংশোধন করাতে চাইলে ই-সাইন বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে বাধ্যতামূলক আধার কার্ড সংযুক্ত ফোন নম্বর। আগে অনলাইনে ভোট ডিলিট করা বা সংশোধন করার আবেদন করতে হলে শুধু মাত্র এপিকের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নম্বর প্রয়োজন পড়ত। ওই ফোন নম্বরের কোনওরকম ভেরিফিকেশন হত না। সোমবার পর্যন্ত কমিশনের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে ভোটার কার্ডে সংশোধন বা ডিলিট করার জন্য ই-সাইনের প্রয়োজন পড়ত না বা আধার সংযুক্ত মোবাইল নম্বরের প্রয়োজন পড়ত না। মঙ্গলবার থেকেই সেটার প্রয়োজন পড়ছে।
মজার কথা হল, ওয়েবসাইট আপডেট হলেও কমিশনের তরফে এই সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। অর্থাৎ একপ্রকার নীরবেই কমিশন ভোট ডিলিট করার প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সুরক্ষিত করেছে। কংগ্রেসের দাবি, রাহুল গান্ধী আলন্দ বিধানসভায় ভোটচুরির অভিযোগ আনার পরই কমিশনের এই বদল। রাহুল নিজেও সোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে কমিশনকে কটাক্ষ করেছেন। বিরোধী দলনেতা বলছেন, “জ্ঞানেশ কুমার জি আমরা চুরি ধরিয়ে দেওয়ার পর আপনি তালা লাগালেন। এবার চোরও আমরাই ধরিয়ে দেব।”
কমিশন অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, অলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের নাম মুছে ফেলার কিছু ব্যর্থ প্রচেষ্টা হয়েছিল। বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশন নিজেই একটি এফআইআর দায়ের করেছে। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, এতদিন কমিশন তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতা করেনি। এবার বাধ্য হয়েই চুপিচুপি পদক্ষেপ করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.