Advertisement
Advertisement
Agni 5 Test Fire

মোদির চিন সফরের আগেই আণবিক অগ্নি-৫ মিসাইল উৎক্ষেপণ ভারতের! ড্রাগনকে কী বার্তা?

এই মাসেই চিন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

Agni 5 Test Fire successful by India before SCO Summit in China

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 21, 2025 3:29 pm
  • Updated:August 21, 2025 3:29 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ আগস্ট ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘অগ্নি-৫’ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। এদিন কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

জানা গিয়েছে, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা পরিচালিত হয়। এই মিসাইল যে দুরত্ব অতিক্রম করতে পারে তাতে প্রতিবেশী চিন এবং পাকিস্তানের চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। অন্যদিকে, এই মাসেই চিন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ইতিমধ্যেই ভারত সফর করেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। এসসিও সম্মেলনের আগে অগ্নি-৫ উৎক্ষেপণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মিসাইল ডিফেন্স প্রজেক্ট অনুসারে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ৫,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দুরত্ব অতিক্রম করতে পারে। আওতায় থাকবে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী চিন এবং পাকিস্তান। বলে রাখা ভালো, এশিয়া-প্যাসিফিকে চিন ও ভারত দুই মহাশক্তি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিযোগিতা চলে আসে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগরে নিজের আগ্রাসী মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছে বেজিং।   এই প্রেক্ষাপটে, ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দুই পক্ষকে আরও দূরে ঠেলে দেয়। সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই, সাম্প্রতিক সময়ে নিজের অস্ত্রভাণ্ডার আরও সুসজ্জিত করার দিকে নজর দিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। পিছিয়ে নেই ভারতও। এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, চিনের কাছে ৬০০ পারমাণবিক বোমা রয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের কাছে রয়েছে ১৮০টি।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রধাণ অস্ত্র সরবরাহকারী চিন। পাকিস্তানের অস্ত্র আমদানির ৮১ শতাংশই আসে চিনের কাছ থেকে। অন্যদিকে মার্কিন চাপের মুখে নিজেদের মধ্যে দুরত্ব ঘুচিয়ে ধিরে ধিরে কাছে আসছে ভারত-চিন। এসসিও সম্মেলনের ঠিক আগে অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলেরও একটি অংশ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। শুধু পাকিস্তান নয় বৈঠকের আগে চিনকেও বার্তা দিয়ে রাখছে ভারত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রুশ তেল কেনার জন্য ভারতের উপর ‘শুল্ক’ চাপিয়েছেন। তারপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এর মাঝে গত সপ্তাহেই ভারত সফরে আসেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এসসিও-র আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন তিনি। এই মঞ্চেই চিন-ভারত-রাশিয়া একত্রে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। গত অক্টোবরে রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে মুখোমুখি হন মোদি-জিনপিং। এরপরেই দুই দেশের সম্পর্কে ফের উষ্ণতার আভাস পাওয়া যায়। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, মার্কিন অর্থনৈতিক নীতি আসলে দুই এশীয় দানবকে নিজেদের মতপার্থক্য ভুলে, কাছাকাছি আসতে সাহায্য করছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ