Advertisement
Advertisement

ব্যক্তিগত আক্রমণে গিয়ে সীমা অতিক্রম করবেন না, মোদিকে কটাক্ষ শত্রুঘ্ন সিনহার

প্রধানমন্ত্রী পদের মর্যাদা ও গরিমাকে অক্ষুণ্ন রাখা উচিত, মত সাংসদ-অভিনেতার।

Ahead of Karnataka polls Shatrughan Sinha slams PM Modi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 11, 2018 3:47 pm
  • Updated:May 11, 2018 3:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার নিজের দলের সাংসদেরই রোষের মুখে পড়তে হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এবার তোপ দাগলেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। কর্ণাটক নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্যগুলি করেছেন, তা নিয়েই আপত্তি তুলেছেন তিনি।

Advertisement

[ বাল গঙ্গাধর তিলক ‘সন্ত্রাসবাদের জনক’! অষ্টম শ্রেণির সহায়িকা বই ঘিরে বিতর্ক ]

কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে তুলোধনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বেশ কয়েকটি টুইটে প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যেরই সমালোচনা করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ কাউকে জ্ঞানী করে না। এখন নির্বাচনী প্রচার শেষ। প্রধানমন্ত্রীর ধনশক্তি (সম্পদের ক্ষমতা) ও জনশক্তি (জণগনের ক্ষমতা) জনগণকে প্রভাবিত করেছে। তিনি বিহার থেকে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের মতো জায়গায় স্টার ক্যাম্পেনার হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন না। কিন্তু দলের সবাই জানে তিনি দলের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং দলের সমর্থনকারী। এরপরেই তিনি আরজি জানিয়েছেন, কখনও সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করা উচিত নয়। সমস্ত ইস্যু অনেক ভালভাবে বলা যায়। নিয়মনীতি মেনে বোঝানো যায়। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর ‘মর্যাদা’ ও ‘গরিমা’ অক্ষুণ্ণ রাখা উচিত।

তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নন। শত্রুঘ্ন সিনহার টার্গেট ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও। একটি টুইটে তিনি প্রধানমন্ত্রীর “PPP” মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। টুইটারে তিনি লেখেন, INC-র জন্য PPP (পুদুচেরি, পাঞ্জাব ও পরিবার)-র মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, এমন হাস্যকর মন্তব্য কেন করা হবে?

৫ মে কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “PPP”-র কথা বলেন। জানান, এক সময় কংগ্রেসের পতাকা পঞ্চায়েত থেকে পার্লামেন্ট পর্যন্ত উড়ত। ১৫ মে, কর্ণাটক নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর তা “PPP”-র মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে।

[ জিন্না তো মহাপুরুষ, ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মন্তব্য বিজেপি সাংসদের ]

শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ১৫ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে। তখন অনেক কিছুই হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী হওয়া মাত্রই কেউ বিজ্ঞ হয়ে যায় না। তারা কী করবে, তা কর্ণাটকের মানুষকেই সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া উচিত।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement