Advertisement
Advertisement
Ahmedabad plane crash

ছেলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার রিপোর্টে প্রশ্ন পাইলটের নবতিপর বাবার, ফের তদন্তের দাবি

ছেলের অসম্মানে তাঁর নিজেরও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে, চিঠিতে জানিয়েছেন বৃদ্ধ।

Ahmedabad plane crash: Captain Sabharwal’s father alleges AAIB report unfair
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 18, 2025 10:38 am
  • Updated:September 18, 2025 10:38 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো দিয়েছে তাতে ছেলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। ওই তদন্ত রিপোর্ট ত্রুটিপূর্ণ। ক্ষোভপ্রকাশ করলেন দুর্ঘটনায় মৃত পাইলট সুমিত সবরওয়ালের নবতিপর বাবা পুষ্করাজ সবরওয়াল। নতুন করে তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এবং এএআইবি-র ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি লিখেছেন তিনি।

Advertisement

নবতিপর ওই বৃদ্ধের দাবি, AAIB যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে তাতে সুমিত সবরওয়ালকে অহেতুক কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। বৃদ্ধ চিঠিতে লিখেছেন, “সংবাদমাধ্যমে AAIB’র তদন্ত রিপোর্টের কিছু অংশ প্রকাশিত হচ্ছে। তাই সুমিতের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। তাতে ক্যাপ্টের সুমিতের মানহানি হচ্ছে। ছেলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় আমার নিজের শরীর এবং মনের উপরেও চাপ পড়ছে। তাছাড়া ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সম্মানরক্ষা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার।” আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘটনার নতুন তদন্ত শুরুর অনুরোধ জানিয়েছেন বৃদ্ধ।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমান আকাশে ওড়ার কয়েক সেকেন্ড পর ভেঙে পড়ে একটি মেডিক্যাল কলেজের উপর। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় ২০০ জনের বেশি মানুষের। ঘটনার তদন্তে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে বিমানটি যখন উপরে ওঠার জন্য গতি পাচ্ছে, তখনই দু’টি ইঞ্জিনের জ্বালানি ‘কাটঅফ’ মুডে চলে যায়। ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ইঞ্জিন বন্ধের ঠিক আগের মুহূর্তে একজন পাইলট অপরজনকে বলেন, ‘ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন?’ অপর পাইলট জবাব দেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’

ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বিমানের উচ্চতা কমতে থাকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অবশ্য পাইলটরা ফের বিমানের দুটি ইঞ্জিনের জ্বালানি ফের ‘কাটঅফ’ থেকে থেকে ‘রান’ মুডে নিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। একটি ইঞ্জিন চালু হলেও আর একটি ইঞ্জিন চালু করা যায়নি। ফলে ‘থ্রাস্ট’ পাওয়া যায়নি। তবে এই রিপোর্ট ঘিরে নানা বিতর্ক শুরু হয়। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই অভিজ্ঞ পাইলট সুমিত সবরওয়ালকে কাঠগড়ায় তোলা শুরু হয়। সেটার বিরুদ্ধেই এবার গর্জে উঠলেন তাঁর বাবা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement