সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, যত গন্ডগোল ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচে। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে জ্বালানির সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাটঅফ’ (বন্ধ)অবস্থায় চলে যায়। তাতেই দুর্ঘটনা। এক্ষেত্রে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রশ্ন উঠছে আমেরিকাতেই।
বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ নিয়ে ২০১৮ সালে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) সতর্ক করেছিল। ৭ বছর আগে FFA জানায়, কিছু বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচগুলোর ‘লকিং ফিচার’ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ইনস্টল করা হয়েছে। যা বিপজ্জনক হতে পারে। তবে FFA সে সময় স্রেফ আশঙ্কার কথা বলেছিল। ওই ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচগুলোকে ‘অসুরিক্ষত’ বলে দেগে দেওয়া হয়নি। ফলে কোনওরকম পদক্ষেপও করা হয়নি। এই একই ডিজাইনের সুইচই ব্যবহার করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে সুইচেই গোলমাল নয়তো।
এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর ১৫ পাতার রিপোর্টে দুর্ঘটনার একেবারে আগের মুহূর্তে দুই পাইলটের হাড়হিম কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে পাইলটদের শেষ মুহূর্তের কথোপকথনের রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। সেই রেকর্ড অনুযায়ী, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে এক পাইলট আর এক পাইলটকে প্রশ্ন করেন, “জ্বালানি বন্ধ করে দিলে কেন?” জবাব অপর পাইলট উত্তর দেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’’ অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে পাইলটরাও সংশয়ে কীভাবে ইঞ্জিনের সুইচ বন্ধ হল। এতে সংশয় আরও বাড়ছে।
অভিশপ্ত বিমানের পাইলট সুমিত সভরওয়ালের ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। সহকারী পাইলট ছিলেন ক্লাইভ কুন্দার। ১১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁরও। এ হেন অভিজ্ঞ দুই পাইলট ভুলবশত জ্বালানি বন্ধ করে দেবেন, সেটা অস্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবেই যান্ত্রিক গোলযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্টে পাখির ধাক্কার উল্লেখ নেই। বিমানসংস্থা বোয়িংকেও কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের তত্ত্ব এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.