সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানের। তা যথাযথ নিরীক্ষণ করা হয়েছিল জুনেই। এমনটাই দাবি এয়ার ইন্ডিয়া সিইও ক্যাম্পবেল উইলসনের। তিনি জানিয়েছেন, আবার ডিসেম্বরে বিমানটির পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
দেখতে দেখতে একসপ্তাহ হয়ে গেল লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের দুর্ঘটনার। ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনই মৃত। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক কী কারণে ঘটেছিল দুর্ঘটনা? বিমানে ত্রুটি ছিল কিনা তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে এদিন সংস্থার সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাম্পবেল জানিয়েছেন, গত মার্চেই বদলানো হয়েছিল বিমানটির ডান ইঞ্জিন। বাঁদিকের ইঞ্জিনটিরও পরীক্ষা হয়েছিল এপ্রিলে। নিয়মিতই বিমান ও সেটির ইঞ্জিনের পরীক্ষা করা হত। কোথাও কোনও গলদ ছিল না।
প্রসঙ্গত, আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা এক পলকে ওলট-পালট করে দিয়েছে সবকিছু। বৃহস্পতিবারের অভিশপ্ত দুপুর কেড়ে নিয়েছে ২৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ। এআই ১৭১ নামটাই যেন হয়ে গিয়েছে ‘অভিশপ্ত’! আর তাই এয়ার ইন্ডিয়া এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই নামে কোনও উড়ান চালাবে না তারা। যদিও প্রকাশ্যে এমন কোনও দাবি তারা করেনি। কিন্তু গোপন সূত্র থেকে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এমনই দাবি।
এদিকে দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১ বিমানের ব্ল্যাক বক্সও! আদৌ ওই ব্ল্যাক বক্স থেকে কোনও তথ্য উদ্ধার করা যাবে কিনা, সেটা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। র্ঘটনার একদিন পরে বিমানটির একটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় দুর্ঘটনার তিন দিন পর। শুক্রবার যে হস্টেলের ছাদে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখান থেকে প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় ধ্বংসস্তুপের নিচে। দুটি ব্ল্যাকবক্সই পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডিজিসিএর কাছে। কিন্তু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় দুটি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি ভালোমতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় প্রযুক্তিতে ওই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.