Advertisement
Advertisement
Air India

পাইলটের ভুলেই দুর্ঘটনা? আহমেদাবাদ কাণ্ডে তদন্তকারীদের নজরে বিমানের ‘ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ’

কী এই ‘ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ’?

Air India Crash Probe Focusing On Movement Of Engine Fuel Control Switches: Report
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:July 9, 2025 6:49 pm
  • Updated:July 9, 2025 6:49 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবারই কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে ভারতের বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা ‘এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’(এএআইবি)। মনে করা হচ্ছে, এই সপ্তাহের শেষে কিংবা আগামী সপ্তাহে রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আনা হবে। এই পরিস্থিতিতে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। বিমান সংক্রান্ত জার্নাল ‘দ্য এয়ার কারেন্ট’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে তদন্তকারীরা বিমানের ‘ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ’টি খতিয়ে দেখছেন। সেটি কখন চালু করা হয়েছে, কখন বন্ধ করা হয়েছে গোটা বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন।

Advertisement

কিন্তু কী এই ‘ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ’? উড়ানের সময় কোনও বিমানের ইঞ্জিন চালু করতে কিংবা অবতরণের পর ইঞ্জিন বন্ধ করতে এই সুইচটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মাঝআকাশেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসলে যে কোনও ড্রিমলাইনার বিমানেরই দুটি ইঞ্জিন থাকে। মাঝআকাশে কোনও কারণে একটি ইঞ্জিন অকেজ হয়ে পড়লেও দ্বিতীয় ইঞ্জিনটির সাহায্যে খুব সহজেই বিমানটি আকাশে উড়তে পারে। যদি আচমকা কোনও বিমানের একটি ইঞ্জিনে বিভ্রাট দেখা যায়, তাহলে পাইলট স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর মেনে ওই ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেন। ‘ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ’য়ের মাধ্যমেই এই কাজটি করা হয়। তবে সেক্ষেত্রে বিমানের উচ্চতা ৪০০ ফুটের উপর থাকা দরকার। সেই উচ্চতায় যাওয়ার আগেই যদি পাইলট ভুলবশত ‘ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচটি’ বন্ধ করে দেন, তাহলে দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানটি ৪০০ ফুটের নিচে ছিল। আর তদন্তকারীদের নজরে এখন  ‘ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ’। তাহলে পাইলটের ভুলের কারণেই কি আহমেদাবাদের দুর্ঘটনা? এই প্রশ্নটিই এখন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এবিষয়ে খোলসা করে তদন্তকারীদের তরফে কিছু জানানো হয়নি। পুরোটাই বিশেষজ্ঞদের অনুমান। 

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন, মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের উপর ভেঙে পড়ে এআই ১৭১ বিমানটি। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। প্রাণ বেঁচেছে উড়ানে থাকা মাত্র একজনের। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারবাস উড়ানের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ। ২০১১ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এ যাবৎ এই বিমানটি কোথাও দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। কীভাবে এমন অভিশপ্ত ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিমানের দু’টি ব্ল্যাক বক্সই এখন যার হদিশ দিতে পারে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ