সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ জানাতে ত্রিপুরায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। প্রমাণ হিসাবে একটি ভিডিও জমা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে যাওয়ার কথা কুণাল ঘোষ-সহ তৃণমূল প্রতিনিধি দলের। সূত্রের খবর, বারবার সাক্ষাতের আর্জি জানানোর পরেও রাজভবনে সম্ভবত থাকবেন না রাজ্যপাল।
গত মঙ্গলবার ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুরে ফুঁসছে বাংলার শাসকদল। বুধবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী ত্রিপুরা পৌঁছয় তৃণমূলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সুস্মিতা দেব, বীরবাহা হাঁসদা, সুদীপ রাহা, সায়নী ঘোষ। বৃহস্পতিবার তৃণমূল প্রতিনিধি দলের তরফে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের দাবি, গত মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। তাদের কারও হাতে ছিল বাঁশ। কেউবা সঙ্গে নিয়ে আসে রড, লাঠিসোটা। কেউ ধারালো অস্ত্র হাতে হামলা চালায়। বেশ কয়েকজন জখম হন। কয়েকজন পালিয়ে প্রাণরক্ষা করেন। এরপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই দলীয় কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্র, দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেয় বলেও অভিযোগ। ভাঙচুরেই শেষ নয়, হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবি তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরের আরও দাবি, এলাকায় অশান্তির পরিবেশও তৈরি করেছে বিজেপি। এই ঘটনায় ঝণ্টু সাহা, নকুল দেবনাথ, কানাই সাহা, রামু সাহা, প্রমচাঁদ পাল, সুমন গঙ্গোপাধ্যায়, অজয় দাস, রামু দাস ও তাদের সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্য সুদীপ রাহা বলেন, “নাগরাকাটায় খগেন মুর্মু এবং শংকর ঘোষদের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলার পুলিশ। তবে আগরতলায় দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও গ্রেপ্তারি শূন্য। ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনাতেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.