Advertisement
Advertisement
Amit Shah

‘আমাকে নৈতিকতা শেখাচ্ছেন!’, সংসদে সোহরাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রসঙ্গ উঠতেই ফুঁসে উঠলেন শাহ

সোহরাবুদ্দিন শেখের এনকাউন্টার মামলায় ২০১০ সালে অমিত শাহ গ্রেপ্তার হন।

Amit shah and KC venugopal fiery face off in lok sabha

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 20, 2025 8:34 pm
  • Updated:August 20, 2025 8:34 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপালের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ। এদিন অমিত শাহ তিনটি বিল পেশ করেন সংসদে। সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী দলগুলি একযোগে এর বিরোধিতা করেন। এই সময়ই শাহ এবং বেণুগোপালের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয় নৈতিকতার প্রশ্নে।

Advertisement

বুধবার বিরোধীদের বিক্ষোভের মধ্যেই লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইন্ডিয়া জোট ওই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। ওয়েলে নেমে বিলের কপি ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। সংসদের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক উত্তাপ যখন তুঙ্গে ওঠে, ঠিক সেই সময়ে কেসি বেণুগোপাল ২০১০ সালের সোহরাবুদ্দিন শেখের এনকাউন্টার মামলায় অমিত শাহের গ্রেপ্তারির কথা উল্লেখ করেন। বেণুগোপাল প্রশ্ন তোলেন, “অমিত শাহ যখন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি কি সেই সময় নৈতিকতা বজায় রেখেছিলেন?”

বেণুগোপালের এই বক্তব্যের পরই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ। দৃশ্যত উত্তেজিত অমিত শাহ তৎক্ষণাৎ পাল্টা আক্রমণ করেন। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, “একটি ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো সত্ত্বেও আমি পদত্যাগ করেছিলাম এবং বেকসুর খালাস হওয়ার আগে পর্যন্ত কোনও সাংবিধানিক পদে থাকিনি। আপনি আমাকে নৈতিকতা শেখাবেন?”

সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অমিত শাহ ২০১০ সালে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। জামিন পাওয়ার আগে তিনি তিন মাস জেলে ছিলেন এবং ২০১৪ সালে, একটি বিশেষ সিবিআই আদালত প্রমাণের অভাবে তাকে সমস্ত অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করে দেয়।

বুধবারই লোকসভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান (১৩০ তম সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস (সংশোধনী) বিল ২০২৫। ওই বিলগুলি মূলত সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে আনা। এই বিল পেশ করার সময়ই লোকসভায় উত্তেজনা শুরু হয়। বিরোধী সাংসদরা স্লোগান দিতে দিতে ওয়েলে ঢুকে পড়েন এবং ছিঁড়ে ফেলা হয় বিলের কপি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা অমিত শাহর দিকে বিলের কপি ছুড়ে দেন। বাধ্য হয়ে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement