সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রশ্ন তোলা কংগ্রেসকে সংসদে একহাত নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু ভুলেই যাবতীয় সমস্যা বলে দাবি করে শাহ বললেন, কংগ্রেসের কোনও অধিকার নেই প্রশ্ন করার। শাহের বক্তব্যে উঠে এল নেহরু আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া সিন্ধু জলচুক্তি ও অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ।
সোমবার অপারেশন মহাদেবের অধীনে পহেলগাঁও সন্ত্রাসে যুক্ত তিন জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা। সে প্রসঙ্গ তুলে এদিন শাহ বলেন, “কংগ্রেসের ভুলেই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। সেই সময় বিভাজন খারিজ করলে না পাকিস্তান থাকত না এত সমস্যা থাকত।” গতকাল সংসদে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল কেন অধিকৃত কাশ্মীর দখল না করে যুদ্ধ থামানো হল। সেই প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে কড়া জবাব দেন শাহ। বলেন, “ওরা যুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আমি বলব, আজ যে অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে এত সমস্যা তার অস্তিত্ব শুধুমাত্র জওহরলাল নেহরুর জন্য। উনি ১৯৬০ সালে পাকিস্তানকে সিন্ধুর ৮০ শতাংশ জল দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে শিমলা চুক্তির সময়ে ওরাই (কংগ্রেস) অধিকৃত কাশ্মীরের কথা ভুলে গিয়েছিল। যদি তখন অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত নেওয়া হত তাহলে আমাদের ওখানে অভিযান চালানোর প্রয়োজন পড়ত না।” একইসঙ্গে বলেন, সেই সময় নেহরুর একতরফা যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিলেন একমাত্র সর্দার প্যাটেল।
১৯৭১ সালের সেই অতীত ইতিহাস এদিন ফের সংসদে তুলে ধরেন শাহ। বলেন, “১৯৭১ সালে গোটা দেশ ইন্দিরা গান্ধীকে সমর্থন জানিয়েছিল। উনিই পাকিস্তানকে দুই ভাগে ভেঙেছিলেন। আজও গর্বের সঙ্গে ভারত ইন্দিরাজিকে স্মরণ করেন, আমিও করি। তবে সেই সময় ভারতের হাতে ছিল পাকিস্তানের ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দি ও ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা । অথচ শিমলা চুক্তির সময় কংগ্রেস সরকার অধিকৃত কাশ্মীরের ফেরত চাওয়ার কথা ভুলে গেল। যদি সেই সময় অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত নেওয়া হত তাহলে সাপও মরত, লাঠিও ভাঙত না। তখন পাক অধিকৃত কাশ্মীর তো ফেরানো হল না উলটে ১৫ হাজার বর্গকিমি জমি ফেরত দেওয়া হল।”
এছাড়া মঙ্গলবার সংসদে ‘অপারেশন মহাদেব’ সামরিক অভিযানের কথা জানান শাহ। বলেন, গতকাল পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলায় তিন জঙ্গিই সেনার গুলিতে মারা গিয়েছে। তিনি বলেন, “এই সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ের হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘অপারেশন মহাদেবে’ আমাদের সেনাবাহিনী তাদের নিকেশ করেছে।” হত তিন জঙ্গির নামও জানান শাহ। বলেন, “এই তিন জঙ্গির নাম সুলেমান, আফগান এবং জিবরান।” এই তিন জনকে খাবার জুগিয়ে সাহায্য করেছিল যে ব্যক্তি তাকে আগেই আটক করা হয়েছিল। সেই নিহত জঙ্গিদের দেহ শনাক্ত করেছে। এরপরই বিরোধীদের নিশানা করে শাহ বলেন, “আমি ভেবেছিলাম তাঁরা পহেলগাঁওকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুর খবর পেয়ে খুশি হবেন। কিন্তু দেখলাম তাঁরা বিষয়টি নিয়ে খুশি নন। বরং হতাশ হয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.