ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় নিখোঁজ। ইস্তফার পর থেকে তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। বিরোধীরা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানালেন, ‘অযথা লেবু কচলানোর কোনও প্রয়োজন নেই।’
সোমবার সংবাদ সংস্থা ‘এএনআই’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জগদীপ ধনকড় প্রসঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “জগদীপ ধনকড় একটি সাংবিধানিক পদে ছিলেন। নিজের কার্যকালে সংবিধান মেনে যথেষ্ট ভালো কাজ করেছেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ফলে এই বিষয়টিকে নিয়ে অযথা লেবু কচলানোর কোনও প্রয়োজন নেই। বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করাও উচিত নয়। তিনি তাঁর সুন্দর কার্যকালের জন্য প্রধানমন্ত্রী-সহ সরকারের সকল পদাধিকারিকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন।”
উল্লেখ্য, সকলকে অবাক করে গত ২১ জুলাই হঠাৎ নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। তাঁর এই ইস্তফা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয় জাতীয় রাজনীতিতে। এই ইস্তফার কারণ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেন তিনি। তবে একদিন আগেও যিনি সংসদে বহাল তবিয়তে কাজ করেছেন। অতীতে অসুস্থ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে যিনি সংসদের কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁর এমন ইস্তফা স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা বাড়ায়। কংগ্রেস মহাসচিব জয়রাম রমেশের সন্দেহ মোদি সরকারের চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন ধনকড়। তাঁর কথায়, সামনে যেটুকু দেখা যাচ্ছে, পর্দার আড়ালে তার চেয়ে অনেক বড় কিছু ঘটে গিয়েছে। সেই জল্পনার মাঝেই কার্যত নিখোঁজ হয়ে যান ধনকড়। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, ধনকড় তো বটেই তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে কী ঘটেছে? তিনি কোথায় রয়েছেন? তিনি কি নিরাপদে আছেন? তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন সঞ্জয় রাউত। জল্পনা উসকে রাহুল গান্ধী বলেবন, “যিনি রাজ্যসভায় সোচ্চার ছিলেন, হঠাৎ তিনি একেবারে চুপ হয়ে গেলেন। বড় কোনও কারণ না থাকলে এটা সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই এর পিছনে বড় গল্প আছে।” জল্পনা শুরু হয়, মোদি সরকারের ভাঁড় ভাঙতে উদ্যোগী হওয়ায় তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
এমনই নানা জল্পনা দিল্লির রাজনীতিতে মাথাচাড়া দিলেও সেসব খারিজ করে এদিন শাহ বলেন, “এরকম কিছুই হয়নি। অযথা তিলকে তাল করা উচিত নয়। তিনি যথেষ্ট ভালো কাজ করেছেন। তাঁর অপ্রয়োজনীয় কথা বলে বিশেষ লাভ হবে না। তিনি নিজের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার জেরে হঠাৎ ইস্তফা দিয়েছেন। বিষয়টিকে নিয়ে কারণ গুজব ছড়ানোর কোনও মানে হয় না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.