Advertisement
Advertisement
Amit Shah

‘হিন্দি অন্যান্য ভারতীয় ভাষার বন্ধু’! নির্বাচনের আগেই সুর নরম বিজেপির?

নির্বাচনের আগেই অমিত শাহের এই বক্তব্য ভোটের জন্য অনেকটা সুর নরম করা বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

Amit Shah talk about hindi language as friend of other languages

ফাইল ছবি

Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:September 14, 2025 6:24 pm
  • Updated:September 14, 2025 6:24 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই নির্বাচন বিহারে। তারপরেই পরপর নির্বাচন বাংলা এবং তামিলনাড়ূতে। এই আবহে কিছুটা সুর নরম আমিত শাহের। শনিবার হিন্দি দিবসের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, হিন্দিকে ভারতের অন্যান্য ভাষার বিরোধী হিসেবে না দেখে, সঙ্গী হিসেবে দেখতে হবে। তাঁর দাবি, ভাষাকে দেশ গঠনের সহযোগী হিসেবে দেখতে হবে।

Advertisement

হিন্দি দিবসের অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, ‘হিন্দি অন্যান্য ভাষার সহযোগী। হিন্দি ভারতীয় ভাষাগুলির বন্ধু। এদের মধ্যে কোনও বিরোধীতা নেই।’ ইতিহাসের প্রসঙ্গ তুলে অমিত শাহ বলেন, ব্রিটিশ শাসনের সময় ভাষাই ছিল প্রতিরোধের কণ্ঠ। তিনি মনে করিয়ে দেন, “বন্দে মাতরম এবং জয় হিন্দ-এর মতো স্লোগানগুলি এই ভাষাগত চেতনা থেকেই উঠে আসে এবং জাতীয় গর্বের স্থায়ী প্রতীক হয়ে ওঠে।”

গুজরাটের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, হিন্দিভাষী না হয়েও নিজস্ব পরিচয় না হারিয়েই এই ভাষাকে গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের ভাষা হল গুজরাটি। কিন্তু শুরু থেকেই দয়ানন্দ সরস্বতী, মহাত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং কেএম মুন্সির মতো নেতারা হিন্দিকে গ্রহণ করেছেন, এর প্রচার করেছেন। গুজরাট হিন্দি এবং গুজরাটি দুই ভাষারই বিকাশের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভারত একটি ‘ভাষা-চালিত দেশ’, যেখানে বিভিন্ন ভাষা তার সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে রূপ দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “অসমের বিহু থেকে শুরু করে বিহারের বিদ্যাপতির পদ, বাংলার বাউল স্তোত্র এবং উত্তর-পূর্বে ভূপেন হাজারিকার গান, ভারতীয় ভাষাগুলি আমাদের সাংস্কৃতিক কাঠামোকে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রাণবন্ত রেখেছে।”

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অমিত শাহের এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিহারের নির্বাচনের পরেই বাংলা এবং তামিলনাড়ুতে নির্বাচন। সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা বলার ‘অপরাধে’ বাঙালিদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বাঙালিদের জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক মঞ্চগুলি থেকে এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আবহে অমিত শাহের এই বক্তব্য আসলে বিজেপি-র তরফে কিছুটা সুর নরম করা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ