সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০২ সালের নারোদা গাম গণহত্যা মামলায় অস্বস্তি বাড়ল বিজেপি। ফের বিপাকে পড়তে পারেন প্রাক্তন বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোদনানি। তবে, সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দলের প্রাক্তন মন্ত্রীকে বাঁচাতে মিথ্যাচার করেছেন বিজেপি সভাপতি। না কোনও অভিযোগ নয়, তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে একথা বলেছে, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট।
২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের নারোদা গামে গোষ্ঠী সংঘর্ষে মোট ১১ জন মুসলিমের মৃত্যু হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা তো দূরের কথা তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক মায়া কোদনানির বিরুদ্ধে দলবল নিয়ে গিয়ে হিংসার ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, কোদনানির নেতৃত্বেই মুসলিমদের উপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে। কিন্তু, গতবছর এই ঘটনার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেন যেসময় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল সেসময় কোদনানি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন বিধানসভায় অমিত শাহ-র সঙ্গে। এরপর নাকি তারা দুজনে একসঙ্গে একটি হাসপাতালেও যান। কিন্তু এই বয়ানে দুটিই বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে সিট।
অমিতের বয়ানের ভিত্তিতেই রেহাই পেয়েছিলেন মায়া কোদনানি। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে এখনও মামলা চলছে বিশেষ আদালতে। বিশেষ আদালতকে সাহায্যের জন্য সিট গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট গঠিত সেই বিশেষ তদন্তকারী দল জানিয়ে দিয়েছে। অমিত শাহ মিথ্যাচার করছেন। আসলে মায়া কোদনানি যেহেতু তাঁর দলের প্রাক্তন মন্ত্রী। তাই তাঁকে বাঁচাতেই মিথ্যে বলছেন বিজেপি সভাপতি। ২০০২ নারোদা গাম গণহত্যার সঙ্গে পরোক্ষে জড়িয়ে আছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামও। জাতীয় রাজনীতিতেও এই ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছিল। তাই অমিতের বয়ান বাতিল হলে নতুন করে অস্বস্তি বাড়তে পারে বিজেপির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.