Advertisement
Advertisement
Ayushman Bharat

কম দর, বকেয়া মেটাতে দেরি, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি

২০১৮ সালে দেশজুড়ে এই প্রকল্প চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Ayushman Bharat enrolments see dip as private hospitals back off over rates, delays
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:June 2, 2025 8:20 pm
  • Updated:June 2, 2025 8:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে স্বাস্থ্যপরিষেবা দিতে আগ্রহ হারাচ্ছে বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল। রিপোর্ট বলছে, প্রতি বছর আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে নথিভুক্ত হাসপাতালের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমছে। হাসপাতালগুলির অভিযোগ, প্রথমত চিকিৎসার জন্য সরকার যে দর বেঁধে দিচ্ছে তা অত্যন্ত কম। শুধু তাই নয়, বকেয়া মেটাতেও ব্যাপক দেরি করছে কেন্দ্র। যার জেরে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

Advertisement

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত চারমাসে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা দিতে ৪৪৩টি হাসপাতাল নাম নথিভুক্ত করেছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে সংখ্যাটা ছিল ১৬১, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৮৭, মার্চে ৪০ এবং এপ্রিলে ৫৫। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আরও ২০টি হাসপাতাল। ওই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রতিমাসে গড়ে ৩১৬টি হাসপাতাল নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছিল আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা দিতে। ২০২৫ সালে সেই সংখ্যাটা একধাপে কমে দাঁড়িয়েছে ১১১।

সরকার এই বিষয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও, একাধিক সংবাদমাধ্যম হাসপাতালগুলির সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে সরকারের গা ছাড়া মানসিকতাই এর জন্য দায়ী। একে তো চিকিৎসার খরচ যা তার তুলনায় অত্যন্ত কম দর দিচ্ছে কেন্দ্র, অন্যদিকে সেই টাকা মেটাতেও অস্বাভাবিক দেরি করা হচ্ছে সরকারের তরফে। যার জেরে সাধারণ মানুষকে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে সমস্যার মুখে পড়ছে তারা। ফল, ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে এই প্রকল্পে নথিভুক্ত হাসপাতালের সংখ্যা। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৬০৯টি বেসরকারি হাসপাতাল এই প্রকল্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের এক আধিকারিক বলেন, সরকারের উচিত চিকিৎসার দর বৃদ্ধি করা তাহলেও এই প্রকল্পে আগ্রহ বাড়বে বেসরকারি হাসপাতালগুলির।

উল্লেখ্য, বাংলার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অনুকরণে ২০১৮ সালে দেশজুড়ে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পান গ্রাহক। তবে প্রকল্পের সুবিধা পেতে রয়েছে কঠোর শর্ত যার জেরে চাইলেও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন বহু গরিব মানুষ। অন্যদিকে, বাংলায় বিশেষ সুবিধাভোগী সরকারি চাকুরিজীবী ছাড়া যে কেউ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পান।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement