Advertisement
Advertisement
বজরঙ্গ দল

বিজেপি বিধায়কের স্কুলে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ বজরং দলের, পুলিশের দ্বারস্থ স্থানীয়রা

কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের এই ধরনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অতীতেও বহু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

Bajrang Dal organises arms training inside school, create controversy
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 2, 2019 3:59 pm
  • Updated:June 2, 2019 3:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি বিধায়কের স্কুলে ছাত্রদের বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বজরং দল। এই সংক্রান্ত কয়েকটি ছবি  সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই উত্তেজনা ছড়াল মহারাষ্ট্রের থানে জেলার মীরা রোড-ভায়ান্দর বিধানসভা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের দ্বারস্থ হতেই অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ছবিগুলি ডিলিট করে দেওয়া হয়। পরে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করতেই ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন- মিমি-নুসরতের পোশাক নিয়ে খোঁচা, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত সাংবাদিক]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মীরা রোড-ভায়ান্দর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নরেন্দ্র মেহতার ‘সেভেন স্কোয়্যার অ্যাকাডেমি’ নামে একটি স্কুল আছে। সম্প্রতি সেই স্কুলের ছাত্রদের ক্যাম্পাসের মধ্যেই বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ দেয় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল। পরে সেই প্রশিক্ষণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করে দেয় বজরং দলের স্থানীয় এক কর্মী প্রশান্ত গুপ্তা। বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা তৈরি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। পড়াশোনার বদলে ছোট ছোট ছেলেদের হাতে কীভাবে বন্দুক তুলে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে কেনও এই ধরনের ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না তা জানতে চান। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ছবিগুলি ডিলিট করে দেয় প্রকাশ গুপ্তা।

এপ্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ও সিপিএম নেতা সাদিক বাশা বলেন, “গত ২৫ মে থেকে ১ জুন, টানা সাতদিন ধরে ওই স্কুলের ভিতরে বজরং দলের প্রশিক্ষণ চলেছে। এই কয়েকদিন স্কুলের বাইরে রীতিমতো ব্যানারও টাঙিয়ে রাখা হয়েছিল। আমি ও আমার বন্ধুরা ভিতরে গিয়ে দেখি প্রায় ১৫০ জনকে সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স এখনও ১৮ বছর হয়নি।”

[আরও পড়ুন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক, প্রথম দিনেই ‘মিশন কাশ্মীর’ অমিত শাহর]

তাঁর আরও অভিযোগ, এই ঘটনার বিষয়ে তিনি ও স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় নবঘর থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানকার সিনিয়ার পুলিশ আধিকারিক রাম একনাথ ভালসিং প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বলেন, “ব্যক্তিগত জায়গায় কেউ যদি ব্যক্তিগত কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।” যদিও পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে অভিযোগ নিতে বাধ্য হয় নবঘর থানা। তবে তদন্ত অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা সোজা গিয়ে হাজির হন থানের ডেপুটি পুলিশ সুপার অতুল কুলকার্ণি কাছে। এরপরই রাম একনাথ ভালসিংকে ওই স্কুলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।

এপ্রসঙ্গে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ছুটি থাকাকালীন বিভিন্ন ক্যাম্পের জন্য স্কুলের ক্যাম্পাস ভাড়া দেওয়া হয়। এবারও স্কুলের পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে বজরং দলকে ক্যাম্পাস ভাড়া দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী কাজ হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement