Advertisement
Advertisement

আমি নপুংসক, সিবিআই আদালতকে জানিয়েছিল ধর্ষক বাবা রাম রহিম

জানেন, জেলে হানিপ্রীতের জন্য কেন কান্নাকানি শুরু করেছে রাম রহিম?

Bigot Baba Ram Rahim claims he is impotent
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 31, 2017 11:22 am
  • Updated:October 1, 2019 5:29 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ভণ্ডবাবা গুরমিত রাম রহিম সিং ইনসান। দুই সাধ্বীকে ধর্ষণ মামলায় রাম রহিমের ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। আর এমন বিস্ফোরক অভিযোগ অস্বীকার করতে আদালতে কী নাটকটাই না করে ধর্ষক বাবাজি! এমনকী নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আদালতকে সে জানায়, সে নাকি ‘নপুংসক’! যৌনমিলনের ক্ষমতা তার নেই। তাই ধর্ষণের প্রশ্নই ওঠে না! চমকে গেলেও এমন কথাই নির্দ্বিধায় বলে গিয়েছল রাম রহিম। ভণ্ডবাবার পক্ষের আইনজীবীও বিষয়টি এভাবেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করতে থাকেন। যদিও সিবিআই আদালত তার বক্তব্য কানে তোলেনি। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের একাধিক প্রমাণ হাতে পাওয়ার পরই তাকে দোষী বলে ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

[‘আর বেরোনোর রাস্তা নেই’, নীল তিমির শিকারের শেষ বয়ান]

সিবিআই-এর তদন্তের যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানেই উঠে এসেছে এই বিস্ফোরক তথ্য। যার বিরুদ্ধে সাধ্বীদের বছরের পর বছরের ধর্ষণের অভিযোগ, এমনকী দত্তক নেওয়া কন্যার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা জানা গিয়েছে, সেই ভণ্ডবাবা কিনা নিজেকে নপুংষক বলে দোষ ঢাকতে চেয়েছিলেন! শুধু আদালতেই নয়, নাটুকে বাবাজির নাটক অব্যাহত জেলের ভিতরেও। কখনও অজ্ঞান হওয়ার ভান, কখনও হাপুস নয়নে কান্নাকাটি। রাম রহিম সিংয়ের এবার কান্না হানিপ্রীতের জন্য। কী ব্যাপার? “হানিপ্রীতকে আমার কাছে আসতে দাও…। ও না এলে আমি বাঁচব না…। ও জানে কী করলে আমি সুস্থ থাকব..। ওকে আসতে দাও…।” হানিপ্রীতকে কেন তাঁর কাছে আসতে দেওয়া হচ্ছে না! দত্তক ‘কন্যা’-র জন্য তাঁর এই আকুলতা দেখে ফিসফাস কারাগারেও।

আবার বাইরে আরেক দফা নাটক। হানিপ্রীতও জেলের ভিতর যাওয়ার জন্য বায়না জুড়েছেন। তাঁর দাবি, তাঁকে অবিলম্বে জেলের ভিতর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। কারণ, রাম রহিম সিং ভারী অসুস্থ। আর একমাত্র তিনিই নাকি জানেন কীভাবে কোন ওষুধ দিলে ঠিক থাকবেন ডেরা সাচা সওদা প্রধান। ফলে জোর নাটক রোহতকে। বছর কয়েক আগে এই হানিপ্রীতকে দত্তক নেন রাম রহিম। হানিপ্রীতের স্বামী ক’দিন আগেই অভিযোগ করেন, স্ত্রীকে তাঁর কাছে থাকতে দিত না রাম রহিম। হানিপ্রীতের সঙ্গে রাম রহিমের সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, গোটা বিষয়টিকে সকলের চোখের আড়ালে রাখতেই হানিপ্রীতকে দত্তক নেওয়ার নাটক করেছিলেন ডেরা সাচা প্রধান।

[রাম রহিমের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন মনমোহন]

যতদিন বাইরে ছিলেন ততদিন আয়েশ করেই দিন কাটত। কিন্তু তার সঙ্গে কি দেশদ্রোহমূলক নানা কারবারও ছকে রেখেছিল? আশ্রমে তল্লাশি চালিয়ে নানা জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে অজস্র কন্ডোম। আবার একই সঙ্গে বেশ কিছু মুচলেকা, যেখানে স্ট্যাম্প পেপারে তার অনুগামীরা লিখছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেবল আমিই দায়ী থাকব।’ এর থেকেই পুলিশের অনুমান একাধিক এইরকম মুচলেকা লিখিয়ে হয়তো আত্মঘাতী বাহিনী তৈরি করার ছক করেছিল রাম রহিম। আসলে বাবাজি শুধু বিছানাতেই সাধ্বীদের উপভোগ নয়, আরও ব্যক্তিগত নানা প্রয়োজনে যে অনুগামীদের ব্যবহার করত তার প্রমাণ মিলছে নানা ক্ষেত্রে। গত শুক্রবার রায়দানের দিন হরিয়ানা-পাঞ্জাব-দিল্লির নানা জায়গায় যে তাণ্ডব চলেছে তাও ছিল পরিকল্পিত। ব্যাগ নেড়ে বাবাজি ইঙ্গিত করলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে চেলাচামুন্ডারা। চারপাশে লাগিয়ে দেওয়া হবে তাণ্ডব।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement