Advertisement
Advertisement
Bihar Assembly Elections 2025

‘ছোট্ট’ দাবি বড় শরিকের, বড় দাবি ছোট শরিকের, বিহারের রফাসূত্র খুঁজতে নীতীশের সঙ্গে বৈঠকে শাহ

আড়াই মাস পর বিধানসভা নির্বাচন, এখনও বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত করতে পারেনি এনডিএ শিবির।

Bihar Assembly Elections 2025: Seat-sharing in focus as Nitish Kumar meets Amit Shah
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 19, 2025 4:47 pm
  • Updated:September 19, 2025 4:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়াই মাস পর বিধানসভা নির্বাচন। এখনও বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত করতে পারেনি এনডিএ শিবির। যার অন্যতম কারণ শরিকি বিবাদ। ছোট শরিকের বড় দাবি, আবার বড় শরিকের ‘ছোট্ট’ আর্জি। এসব সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাটনায় খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেখা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে।

Advertisement

কার কী দাবি? বিহারে এনডিএর বড় শরিক দুই দল। এক বিজেপি, দুই জেডিইউ। এখানে বড় শরিক জেডিইউয়ের দাবি ‘ছোট্ট’। বিজেপি যে সংখ্যক আসনে লড়বে, তার চেয়ে একটি হলেও বেশি আসন ছাড়তে হবে। ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে বিহারে এনডিএ শিবিরে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল বিজেপি, ৭৪টি। জেডিইউ পেয়েছিল ৪৩টি। অর্থাৎ জেডিইউয়ের চেয়ে অনেকটাই বেশি আসন পায় গেরুয়া শিবির। তা সত্ত্বেও জোটের স্বার্থে নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। এবারও এনডিএর মুখ সেই নীতীশই। তাঁর নেতৃত্বেই লড়বে এনডিএ শিবির। সেটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিজেপিকে নাকি কড়া শর্ত দিয়ে ফেলেছে জেডিইউ। সাফ বলে দেওয়া হয়েছে, বিজেপির চেয়ে বেশি আসনেই লড়বে নীতীশের দল। সেটা একটা আসন হলেও।

এনডিএর ছোট শরিক তিনজন। এক, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি। তাঁর দাবি অন্তত ৪০ আসন। নিদেনপক্ষে এমন আসন দিতে হবে যাতে জয়ের সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। দুই, জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা। তাঁর দাবি, এমন সংখ্যার আসন দিতে হবে যাতে অন্তত রাজ্যস্তরের রাজনৈতিক দলের তকমা ধরে রাখতে পারেন। উপেন্দ্র কুশওয়াহর আরএলএমের দাবি, অন্তত ১০ আসন। এই সব দাবি মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে আসরে নামতে হয়েছে অমিত শাহকে। তিনি পাটনায় নীতীশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাতে প্রাথমিক একটি আসনরফার সূত্র পাওয়া যাচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে যে আসনরফার ফর্মুলা পাওয়া যাচ্ছে তাতে জেডিইউ ১০০-১০১ আসনে লড়তে পারে। বিজেপি লড়তে পারে ১০১ আসনে। অর্থাৎ বিজেপির চেয়ে এক আসনে বেশিই লড়বে জেডিইউ। বাকি ৪২ আসন ভাগাভাগি হবে চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি, জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা, এবং উপেন্দ্র কুশওয়ার আরএলএমের মধ্যে। এর মধ্যে ২৫ থেকে ২৮ আসন পেতে পারে চিরাগের দল। চিরাগ কোনওভাবেই ৩৫ আসনের নিচে নামতে রাজি নন। মাঝির হাম লড়তে পারে ৭ আসনে। মাঝিও ১০-এর কম মানতে চাইছেন না। কুশওয়াহর দলও পেতে পারেন ৭ আসন। তাঁরও দাবি ১০। শেষমেশ কী রফা করেন শাহ, সেটাই দেখার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement