ফাইল ছবি
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অনেকেই তাঁর সুর বদলের ইঙ্গিত পাচ্ছেন। দিন দুই আগেই বলছিলেন, “আমরা এনডিএ জোটে থাকলেও আমাদের বিচারধারা ভিন্ন। আর সেই স্বতন্ত্র পরিচয়েই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন লড়ব।” এবার শোনা যাচ্ছে, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে মনোনিবেশ করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদও ছেড়ে দিতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে বিহারের বিধানসভাতেও লড়তে পারেন তিনি।
লোক জনশক্তি পার্টির (রামবিলাস) সুপ্রিমো ও কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী ইস্তফা দিতে পারেন, সে জল্পনা দিল্লিতেও ছড়িয়েছে। তিনি পুরোপুরি রাজ্য রাজনীতিতে মনোনিবেশ করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। চিরাগ প্রমাণ করতে চান, তিনি সমগ্র বিহারবাসীর নেতা। তাই দলিত আসন ছেড়ে ‘জেনারেল’ বা অসংরক্ষিত আসন থেকে লড়াই করতে পারেন। যদিও সেটা এনডিএর মধ্যে থেকে না বাইরে বেরিয়ে, সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়। চিরাগের এই সিদ্ধান্ত চাপ বাড়াতে পারে নীতীশের উপর। কারণ ২০’র নির্বাচনেও আলাদা লড়ে নীতীশের দলের সমূহ ক্ষতি করেছেন চিরাগ। যদিও ঠিক কী পরিকল্পনা তিনি করছেন, তা স্পষ্ট নয়।
আসলে লোক জনশক্তি পার্টির সমস্যা, বড় গাছের ছায়ার নিচে থেকে অস্তিত্বের সংগ্রাম করে চলেছে দলটি। এবং এই ছত্রছায়ার বাইরে দলটির কোনও অস্তিত্ব নেই। কিছু রাজনৈতিক শক্তি বারবার দলের নেতা চিরাগকে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। বিহারের জনগণের মধ্যে, বিশেষ করে দলিত, বহুজন, যুব ও মহিলাদের মধ্যে চিরাগের জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে তাঁর দল।
শোনা যাচ্ছে, দুর্গাপুজো, দিওয়ালি ও ছট পুজোকে মাথায় রেখেই বিহার বিধানসভার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট তৈরি করতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে তিন দফায় ভোটগ্রহণ হতে পারে। তাই ভোটগ্রহণ মাসখানেক এগিয়ে আনা হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর। কারণ ২০ নভেম্বরের মধ্যে ভোটপর্ব শেষ করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.