সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের প্রথম প্রার্থীতালিকায় তিনি নিজের নাম রাখেননি। ৫১ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর জল্পনা শুরু হয়েছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আদৌ লড়বেন তো প্রশান্ত কিশোর? সেই জল্পনার মধ্যেই হুঙ্কার ছাড়লেন পিকে। তাঁর ইঙ্গিত, তিনি সরাসরি লড়তে পারেন ইন্ডিয়া জোটের মুখ তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে।
এই মুহূর্তে তেজস্বী পারিবারিক গড় রাঘোপুরের বিধায়ক। ওই কেন্দ্র থেকে লড়ে অতীতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব। ওই কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন রাবড়ি দেবী। তেজস্বী নিজেও দুবার ওই কেন্দ্রের বিধায়ক হয়েছেন। ২০১৫ সালে এই আসন থেকেই নিজের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন তেজস্বী। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যাদব পরিবারের গড় বলে পরিচিত রাঘোপুর থেকে প্রায় ৩৮ হাজার ভোটে জেতেন তেজস্বী। সেই নির্বাচনে বিজেপি-র সতীশ কুমারকে হারান তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা তেজস্বীকে এবার তাঁর কেন্দ্রেই চ্যালেঞ্জ জানাতে চান প্রশান্ত কিশোর। বিহারের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, ওই রাঘোপুর কেন্দ্রে লড়াই করার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন পিকে।
পিকের রাঘোপুরে লড়া নিয়ে জল্পনার মধ্যে আবার শোনা যাচ্ছে, রাঘোপুরের পাশাপাশি আরও একটি আসনে লড়তে পারেন তেজস্বী। সেই আসনটি হচ্ছে মধুবনির ফুলপরশ। আরজেডির সূত্র বলছে, মধুবনী নীতীশ কুমারের জেলা। এই ফুলপরশ নীতীশের কাছের কেন্দ্র। তাই তাঁর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ের বার্তা দিতে তেজস্বী ফুলপরশে লড়তে চান। যদিও পিকে-র বক্তব্য, সেসব নয়, রাঘোপুর থেকে হারের ভয়েই নিরাপদ আসন খুঁজে বেড়াচ্ছেন আরজেডির শীর্ষ নেতা।
প্রশান্ত কিশোর বলছেন, “আমি রাঘোপুর নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। সেখানে যাব। মানুষের কথা শুনব, তারপর সিদ্ধান্ত।” এরপরই পিকের হুঁশিয়ারি, “আমি যদি রাঘোপুর আসন থেকে লড়াই করি, তাহলে তেজস্বী যাদবকে দুটো আসন থেকে লড়াই করতেই হবে। নাহলে আমেঠিতে রাহুল গান্ধীর যা দশা হয়েছিল, সেটাই রাঘোপুরে তেজস্বীর হবে।” বস্তুত, পিকে যদি রাঘোপুরে লড়েন, তাহলে তেজস্বীর জন্য লড়াই বেশ কঠিন হতে পারে। অন্তত তাঁকে নিজের কেন্দ্রে বেশি সময় দিতে হবে। যা আরজেডির জন্য সমস্যার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.