বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ছট পুজোর পরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। মাস ঘুরলেই ভোটের দামামা বাজাতে পারে নির্বাচন কমিশন। তার আগে দলের কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার দিল্লির বদলে পাটনায় বসছে কংগ্রেসের নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠক। মূলত বিহার নির্বাচনে আসন বণ্টন, প্রচার কৌশল ছাড়াও ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে আলোচনা হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। বৈঠকে যোগ দিতে এদিন সকালেই পাটনায় পৌঁছবেন সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ছাড়াও মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব।
কয়েকদিন আগেই বিহার জুড়ে ‘ভোটার অধিকার যাত্র’ করেছেন তেজস্বী যাদব ও রাহুল গান্ধী। ছিলেন জোটসঙ্গী বামেদের শীর্ষ নেতৃত্বও ছিলেন। দীর্ঘ সেই যাত্রায় বিহারজুড়ে বিজেপি বিরোধী প্রচার চালানো হলেও আসনরফা নিয়ে জোটসঙ্গীদের মধ্যে কথা হয়নি। অথচ যাত্রা চলাকালীন একাধিকবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন রাহুল ও তেজস্বীরা। এবার আরজেডির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক পাটনায় করার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। বিহারে ক’টি আসন দাবি করা হবে এবং সেইগুলি কোনগুলো তাও চিহ্নিত করা হবে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
গতবার বিহারে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। সেই তুলনায় কম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভাল ফল করে বামেরা। কংগ্রেসের ভরাডুবির কারণেই অল্পের জন্য নীতীশ কুমার ও বিজেপি জোটের কাছে পরাজিত হয় মহাগঠবন্ধন। গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আসনরফা হবে বলে বারবারই ইঙ্গিত দেন রাহুল গান্ধী। তারপরই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি এবার গতবারের তুলনায় কম আসনে লড়বে কংগ্রেস? বাড়তি আসন দেওয়া হবে বামেদের।
কিন্তু কংগ্রেস সূত্র বলছে অন্য কথা। কংগ্রেসের দাবি, গতবার এমন সব আসনে কংগ্রেসকে লড়তে বলা হয়েছিল, যা আসলে বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের গড়। ৭০ আসনের মধ্যে ৪৬টি আসনেই গত ৩-৪ বার ধরে জয়ী হয়ে এসেছে এনডিএ। এবার ওই ধরনের আসন চায় না কংগ্রেস। এবার হাত শিবির লড়তে চায়, সম্ভাবনাময় আসনে। এই জল্পনার মধ্যেই আজ পাটনায় বৈঠকে বসছে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব।বৈঠকে আসনরফা ছাড়াও ভোাটার তালিকা সংশোধন ও ‘ভোটাধিকার যাত্রার সাফল্য’ নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.