Advertisement
Advertisement
Bihar Elections

সম্মান পাচ্ছেন না! এবার বিস্ফোরক পোস্ট লালুর মেয়ের, ভোটের আগে যাদব পরিবারে হচ্ছেটা কী?

তেজস্বী আর মিসা ভারতী ছাড়া লালুর বাকি সন্তানরা অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই আরজেডির মূল সংগঠন থেকে দূরে।

Bihar Elections: Family feud in RJD? Rohini Acharya posts cryptic tweets
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 21, 2025 1:12 pm
  • Updated:September 21, 2025 1:12 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের ভোটের মুখে লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারে ফের আলোড়ন। তেজপ্রতাপ যাদবের পর এবার ‘বিদ্রোহী’ লালু প্রসাদের মেয়ে রোহিণী আচার্য। যে মেয়ে কিডনি দান করে বাবার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন, সেই মেয়ের একটি সোশাল মিডিয়া পোস্টে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে যাদবকুলে।

Advertisement

রোহিণী আচার্য শুক্রবার একটি সোশাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, “আমি একজন কন্যা এবং বোন হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি এবং আগামী দিনেও করব। আমার কোনও পদের মোহ নেই। না কোনও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। আমার জন্য আত্মসম্মানটাই সব।” রোহিণী ২০২২ সালে লালুপ্রসাদ যাদবকে কিডনি দান করেছিলেন। সেই সময়ের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের আত্মত্যাগের কথাও মনে করিয়েছেন লালুকন্যা। তাৎপর্যপূর্ণ হল, রোহিণীর ওই পোস্টের পর আবার মুখ খুলেছেন লালুর ত্যাজ্যপুত্র তথা দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা তেজপ্রতাপ যাদব। তিনি বলছেন, “রোহিণী আমার চেয়ে অনেকটা বড়। ছোটবেলায় ওঁর কোলে আমি খেলেছি। আমি জানি বোন, স্ত্রী এবং কন্যা হিসাবে কী কী আত্মত্যাগ ও করেছে। ও যদি হতাশা প্রকাশ করে থাকে সেটা স্বাভাবিক।”

লালুর দুই সন্তানের ওই পোস্টের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ভোটের মুখে লালুর পরিবারে হচ্ছেটা কী? এই কদিন আগে তেজপ্রতাপকে বহিষ্কার করা হল। এবার আরও এক সন্তান বিদ্রোহী? তাহলে কি ছোট ছেলে তেজস্বীকে যেভাবে লালুপ্রসাদ নিজের উত্তরসূরি হিসাবে বেছে নিয়েছেন, সেটা তাঁর বাকি সন্তানরা মেনে নিতে পারছেন না? বলে রাখা দরকার, রোহিণী কিন্তু খুব বেশিদিন সক্রিয় রাজনীতি করেননি। ২০২২ সালে বাবাকে কিডনি দান করার পর তিনি শিরোনামে আসেন। ২০২৪ সালে তাঁকে লোকসভার টিকিট দেয় আরজেডি। তাতে অবশ্য তিনি হেরেই যান। তিনি কি এবার বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট চাইছেন?

তেজস্বী আর মিসা ভারতী ছাড়া লালুর বাকি সন্তানরা অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই আরজেডির মূল সংগঠন থেকে দূরে। একটা সময় ভাই তেজস্বীর সঙ্গে দলের ‘দখল’ নিয়ে দ্বন্দ্বও ছিল তেজপ্রতাপের। কিন্তু লালুর আশীর্বাদ বরাবরই ছিল তেজস্বী যাদবের দিকে। ভাইয়ের কাছে পরাজিত হয়ে তেজপ্রতাপ মূল সংগঠন থেকে দূরে সরে যান। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়েরা সেভাবে কোনওদিনই ভাইয়ের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াননি। কিন্তু এবারের ভোটের মুখে যেভাবে একের পর এক অশান্তির খবর লালু পরিবার থেকে আসছে, সেটা ভোটের মুখে আরজেডি সমর্থকদের উদ্বেগ বাড়াবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ