ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স ১৬। পড়াশোনা, খেলাধুলোর এই বয়সে জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল পরিবার। বাধ্য হয়ে বন্ধুর সাহায্য নিয়ে আদালতে মামলা করে নাবালিকা। প্রত্যাশিতভাবেই শীর্ষ আদালতে মিলল সুরাহা। মেয়েটি ও তার বন্ধুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
জানা গিয়েছে, পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিল বিহারের কিশোরী। কিন্তু তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৩৩ বয়সি এক ব্যক্তির সঙ্গে নাবালিকার বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার। এবং অনিচ্ছাতেই জোরপূর্বক শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ঠিক মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে ওই নাবালিকাকে শ্বশুরবাড়ি যেতে হয় সংসার করতে। পড়াশুনো বন্ধ করে দিতে হয়। এমনকী শুরু হয় মারধরও।
শ্বশুরবাড়ির তরফে বলা হয়, বিয়েতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এবার ‘উত্তরসূরি’ চাই। নাবালিকার স্বামী বলেন, মেয়েটির পরিবার আমাদের কাছে ঋণী, তাই সে আমাদের কাছে থাকতে বাধ্য। শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় প্রায়শই তাকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। এদিকে মেয়েটিকে বাড়ির লোকও ফেরত নিতে নারাজ। নানাভাবে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। যদিও নাবালিকার মামা তাঁকে জানুয়ারি মাসে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। এরপর ফের তাঁকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর চাপ দেওয়া হলে এবার সে এক বন্ধুর সঙ্গে পালিয়ে যায় বারাণসী।
কিন্তু মেয়েটির মা-বাবা ওই বন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। তার বন্ধুর পরিবারকেও চাপ দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যাতে সে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়। এমনকী বন্ধুর বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয় মিথ্যা মামলায়। পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ। ওই নাবালিকা বাধ্য হয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। অবশেষে মামলায় হস্তক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া এবং বিচারপতি মনমোহনের ডিভিশন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলেছেন, রাজ্য সরকার ওই নাবালিকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযোগকারী এবং তাঁর বন্ধুর উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বিহার সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.