সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। তারা বলেছে, যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটদানের অধিকার পান সেটা নিশ্চিত করতেই এই সংশোধনী। বিহারের পরে এক এক করে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হবে।
এই ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য তালিকাভুক্ত ভোটার বা নতুন আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে যাবেন বুথ স্তরের আধিকারিকরা। ওই পর্যবেক্ষণের সময় বুথ স্তরের অফিসাররা একটি ফর্ম দেবেন। সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে ভোটারদের। এর পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকত্বের সেলফ অ্যাটেস্টেট ঘোষণাপত্রও জমা দিতে হবে। ভোটাধিকারের প্রমাণপত্র হিসাবে মোট ১১টি নথির তালিকা দিয়েছে কমিশন। এই নথিগুলির যে কোনও একটি থাকলেই ভোটার তালিকায় নাম উঠবে আবেদনকারীর।
কমিশনের দেওয়া ১১ নথির তালিকা:
১। সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র
২। ১ জুলাই ১৯৮৭-র আগে জারি হওয়া কোনও সরকারি নথি
৩। বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া জন্ম সার্টিফিকেট
৪। পাসপোর্ট
৫। যে কোনও বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (সাল, তারিখ উল্লেখ থাকতে হবে)
৬। স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট (জেলাশাসক বা সমতুল কারও দেওয়া)
৭। বনপালের সার্টিফিকেট
৮। কাস্ট সার্টিফিকেট
৯। এনআরসি অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ (যেখানে প্রযোজ্য)
১০। পারিবারিক রেজিস্টার (রাজ্য সরকার বা প্রশাসন প্রদত্ত)
১১। সরকার প্রদত্ত জমি বা বাড়ির নথি (দলিল বা পর্চা)
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০০৩ সালে বিহারে শেষবার SIR হয়েছিল। ফলে যাঁদের নাম ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় ছিল, তাদের আর নতুন করে কোনও নথি জমা দিতে হবে না। ২০০৩ সালের পর থেকে যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় উঠছে শুধু তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে ২০০২ সালে শেষবার বিশেষ নিবিড় সংশোধন হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বাংলায় যদি SIR হয়, তাহলে ২০০২ সালের ভোটার তালিকাকে প্রামাণ্য ধরা হতে পারে। অর্থাৎ বাংলার ক্ষেত্রে ২০০২ সালের পর যাঁদের নাম উঠছে তাদের নথি দেখাতে হবে। যাদের ভোটার তালিকায় ২০০২ সালের পর নাম উঠেছে তাদের অভিভাবকদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকলে, অভিভাবকদের জন্য আলাদা কোনও নথি জমা দিতে হবে না। না থাকলে অভিভাবকের নথিও দিতে হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.