সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একপেশে, স্বৈরাচারী এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন! ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন ইস্যুতে অসন্তোষের জেরে একযোগে ভোট বয়কট করতে পারে বিহারের গোটা বিরোধী শিবির। সেটা হলে ভারতীয় রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা হবে।
বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব বুধবারই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ভোট বয়কটের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়ে দিলেন, ওই ইঙ্গিত শুধু হুমকি দেওয়ার জন্য নয়। সত্যি সত্যিই বয়কটের ভাবনা রয়েছে বিরোধী শিবিরের। তিনি বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন, “আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলব। জোটসঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলব। তারা যদি চায়, তাহলে ভোট বয়কট করার কথা ভাবা হতে পারে।” তেজস্বী বলছেন, “এমন একপেশেভাবে পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনের কোনও অর্থ হয় না।”
বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। তারা বলেছে, যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটানের অধিকার পান সেটা নিশ্চিত করতেই এই সংশোধনী। কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এর ফলে ভোটের তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে অন্তত ৫৬ লক্ষ নাম। হিসাব বলছে গড়ে প্রতিটি বিধানসভায় ২৩ হাজারের কাছাকাছি ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন। কোথাও বেশি, কোথাও কম। কিন্তু ২৩ হাজারের এই গড় ধরলেও ভোটের ফলাফলের উপর বিরাট প্রভাব পড়তে পারে।
সাধারণত যারা এই তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন তাঁদের অধিকাংশই প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ। এদের অনেকেই হয়তো বহুদিন ধরে ভোট দিয়ে আসছেন অথচ কমিশন যে যে নথি চেয়েছে, সেগুলি তাদের নেই। এই ভোটারদের একটা অংশ সংখ্যালঘু। চিরাচারিত বিজেপি বিরোধী। আবার একটা অংশ একেবারে প্রান্তিক। সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদেরও সরকার বিরোধী ভোট দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তেজস্বীদের দাবি, এভাবে একপেশে পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন হলে, সেই নির্বাচনের কোনও অর্থ হয় না। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তেজস্বীর এই ভোট বয়কটের দাবি নিতান্তই চাপ বাড়ানোর কৌশল। কার্যক্ষেত্রে হয়তো ভোট বয়কটের পথে তিনি হাঁটবেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.