Advertisement
Advertisement
VP Election

ফোন করেছেন খোদ মোদি-খাড়গেরা, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ‘চাবিকাঠি’ এই নেতার হাতেই!

এবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন বেশ টানটান লড়াই হতে চলেছে।

BJD to decide on VP Election on appropriate time, Says Party
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 22, 2025 10:53 am
  • Updated:August 22, 2025 10:53 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ‘খেলা’ শুরু। কঠিনও। দু’পক্ষই একে অপরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে প্রতিদিন নয়া কৌশল নিচ্ছে। এবার যে অনায়াসে জয় আসবে না, খেলার শুরুতেই তা বুঝতে পেরেছে সরকার পক্ষ। বিরোধীরা আগের চেয়ে অনেক সংঘবদ্ধ। তাছাড়া সংসদের দুই কক্ষেই শক্তি কমেছে কেন্দ্রের শাসক দলের। তাই এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ‘তৃতীয় পক্ষ’।

Advertisement

তৃতীয় পক্ষ কারা? যারা এনডিএ বা ইন্ডিয়া কোনও জোটেই নেই। কারা আছেন এই পক্ষে। আপাতত তিনটি বড় দল। এদের মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রের ওয়াইএসআর কংগ্রেস, তেলেঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতি আর ওড়িশার বিজেডি। এর মধ্যে ওয়াইএসআর কংগ্রেস এনডিএকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। আবার ভারত রাষ্ট্র সমিতির মুখে কুলুপ। এই পরিস্থিতিতে এনডিএ এবং ইন্ডিয়া দুই জোটেরই নজর ওড়িশার প্রাক্তন শাসকদল বিজেডির দিকে। সূত্রের খবর, গত দু’দিনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক জাতীয় স্তরের দুই শীর্ষ নেতার ফোন পেয়েছেন। একজন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপরজন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।

বুধবার বিজেডি প্রধানকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। পট্টনায়েককে দিল্লিতে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তাতেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেডির সমর্থন নিশ্চিত করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। আবার এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আসরে নামে কংগ্রেস। খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ফোন করেছেন পট্টনায়েককে। আসলে এই মুহূর্তে ওড়িশায় নবীনের লড়াই সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই এতদিন জাতীয় ইস্যুতে বিজেপির পাশে থাকলেও এবার বিজেডি বিজেপির পাশে থাকবেই এমন নিশ্চয়তা নেই। কংগ্রেসও সুযোগ বুঝে টোপ দিয়ে রাখছে।

বিজেডির লোকসভায় সাংসদ না থাকলেও রাজ্যসভায় ৬ সাংসদ রয়েছেন। তাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁদের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। আসলে এবার ইন্ডিয়া জোট আগেরবারের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। গতবার লোকসভায় কংগ্রেস ছিল ৫৪ আসন। এবার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ। আবার তৃণমূল বা ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টির শক্তিও অনেক বেড়েছে। জগদীপ ধনকড় যখন নির্বাচিত হন, সেসময় লোকসভায় বিজেপির একার ৩০২ সাংসদ ছিল। তারপর শরিকদের সমর্থন ছিল। রাজ্যসভাতেও অনেকটাই এগিয়ে ছিল এনডিএ। এবার বিজেপির ২৩৫ সাংসদ। ফলে নির্ভর করতে হচ্ছে নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডু, চিরাগ পাসোয়ানদের ওপর। এছাড়াও ছোট ছোট শরিকদের কাছে সমর্থনের জন্য হাত পাততে হচ্ছে। এই লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ নবীন পট্টনায়েক। তিনি অবশ্য এখনও কোনও শিবিরকেই কথা দেননি। সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত হবে, জানাচ্ছে তাঁর দল। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ