ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময় তিনি কংগ্রেসের বিদ্রোহী জি-২৩ গ্রুপের সদস্য ছিলেন। পরে দলের মূল ধারায় ফিরে লোকসভার সাংসদ হলেও গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সেভাবে সখ্য গড়ে ওঠেনি। কিছুদিন আগেও সংসদে অপারেশন সিঁদুর সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি। সেই মণীশ তিওয়ারি আচমকা আক্রমণ করে বসলেন রাজনীতির ‘নেপো কিড’দের। যারা পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির সুবিধা পান তাঁদের নিশানা করলেন।
আসলে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপালের ধাঁচে এবার ফিলিপিন্সেও তরুণ প্রজন্ম রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছে। এক্স হ্যান্ডেলের এক পোস্টে মণীশ তিওয়ারি বললেন, “শ্রীলঙ্কার গোতাবায়ো রাজাপাক্ষে, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা, নেপালের কেপি শর্মা ওলির সরকারের পতনের পর এবার ফিলিপিন্সে ফার্দিনান্দ মার্কোসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। সবকিছুর নেপথ্যে একটাই বার্তা লেখা, পরিবারতন্ত্রের সুবিধা নিলে জেনারেশন X, Y বা Z মেনে নেবে না। বস্তত বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ট্রেন্ডই এখন পরিবারতান্ত্রিকদের নিশানা করছে।”
সমস্যা হল, মণীশ নিজে যে দলের সদস্য, সেটাই ভারতের সবচেয়ে বড় পরিবারতান্ত্রিক দল। অন্তত বিরোধীরা তাই বলে। কংগ্রেসের মুখ রাহুল গান্ধী নিজেও পরিবারতন্ত্রেরই ফসল। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি প্রশ্ন তুলছে, মণীশ কি ঘুরিয়ে রাহুল গান্ধীকেই নিশানা করলেন? অমিত মালব্য থেকে শুরু করে সম্বিত পাত্র সকলে একযোগে মণীশের সেই টুইট রিটুইট করেন। অমিত মালব্য বলেন, “জেন জি লাগবে না। কংগ্রেসের নিজেদের নেতারাই রাহুল গান্ধীর উপর বিরক্ত।” সম্বিত পাত্র বলেন, “ভারতের নেপো কিডকে তো ২০১৪ সালেই ছুঁড়ে ফেলেছে জনতা।”
যদিও বিজেপি নেতাদের এই কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন মণীশ তিওয়ারি নিজেই। তিনি বলছেন, “সব কিছুকেই বিজেপি-কংগ্রেসের আয়নায় না দেখলেই নয়। আশা করি কিছু মানুষ এবার একটু পরিণত হবে। সব কিছুকে একই আয়নায় দেখা বন্ধ হবে।” কংগ্রেসে সাংসদের বক্তব্য, এই বিষয়গুলিকে আরও বৃহত্তর ভাবনা থেকে দেখা দরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.