নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বঙ্গ বিজেপিতে রদবদল আসন্ন। বিধানসভা নির্বাচনের দশ মাস আগে সভাপতি বদল করা হবে কি না, তা নিয়ে দোলাচলে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির মধ্যে অনেকেই চাইছেন, বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারই দায়িত্ব সামলান। আবার বাংলার ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের অধিকাংশই সভাপতি পদে নতুন মুখ আনার পক্ষে।
দুই পক্ষের মতভেদের কারণে সভাপতি বাছাই নিয়ে জট আটকে থাকলেও খুব শীঘ্রই যে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় বদল হতে চলেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। এবং তাতে বাদ পড়ার সম্ভাবনা একঝাঁক চেনা মুখের। তবে নতুন যে কমিটি তৈরি হবে, সেখানে বর্তমান কমিটির ৫০ শতাংশ সদস্যকে কার্যত বাধ্যমূলকভাবেই জায়গা দিতে হবে, এমনটাই খবর বিজেপির কেন্দ্রীয় সূত্রের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক প্রথম সারির কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গ বিজেপির রদবদল প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “বাংলা তো বটেই, সব রাজ্যেই সাংগঠনিক স্তরে রদবদল হলে নিজের পছন্দের লোক দিয়ে সব স্তরে নতুন কমিটি তৈরির প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তা আটকাতে সব রাজ্যের জন্যই বাধ্যতামূলকভাবে পুরনো কমিটির পঞ্চাশ শতাংশ সদস্যকে রাখার নিয়ম করা হয়েছে। তা ছাড়া, বর্তমানে যে কমিটি রয়েছে, সেখান থেকে বেশ কয়কজনকে আমরা আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে চাইছি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সংগঠনের কাজে আটকে রাখলে তাঁরা নিজেদের বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের জন্য পূর্ণ সময় দিতে পারবেন না।”
গত লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত সাংসদ পরাজিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। এই তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষের নাম। তা ছাড়া আরও দুই প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামাণিককেও বিধানসভা নির্বাচনের ময়দানে নামাতে চাইছে তারা। বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় গতবারের মতোই সিউড়ি বিধানসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পদাধিকারীদের নতুন তালিকায় তাঁর ঠাঁই মেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.