Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bombay HC

‘জীবন নষ্ট করবেন না’, অপারেশন সিঁদুরের ‘সমালোচনামূলক’ পোস্ট করা ছাত্রীকে মুক্তির নির্দেশ বম্বে হাই কোর্টের

ধৃত ছাত্রী পুণের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া।

Bombay HC orders release student who arrested over Op Sindoor post
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:May 27, 2025 6:53 pm
  • Updated:May 27, 2025 7:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ‘সমালোচনামূলক’ একটি পোস্ট করছিলেন যুবতী। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এমনকী কলেজ থেকে বহিষ্কারও করা হয় যুবতীকে। মামলা গড়ায় বম্বে হাই কোর্ট। সওয়াল জবাবের পর তরুণীকে ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজ্য ও যুবতীর কলেজকে ভর্ৎসনা করে বলেন, “এটা কী? একজনের জীবন নষ্ট করছেন আপনারা।”

Advertisement

ধৃত ছাত্রী পুণের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া। তাঁর সেমেস্টারের পরীক্ষাও চলছে। ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের পর সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেন যুবতী। ৯ তারিখ ওই ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন পুণের ইয়েরওয়াড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। সেখান থেকে বম্বে হাই কোর্টে মুক্তির জন্য আবেদন করেন। মামলাটি ওঠে বিচারপতি গৌরী গডসের বেঞ্চে। সেখানেই আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য (মহারাষ্ট্র)।

বিচারপতি গৌরী সরাসরি প্রশ্ন করেন, “এসব কী? একজনের জীবন নষ্ট করছেন? কেউ নিজের ভাব প্রকাশ করেছেন, তার জন্য জীবন নষ্ট করতে চাইছেন।” কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করেন, “কীভাবে ছাত্রীকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করলেন। পড়ুয়ার থেকে কোনও ব্যাখ্য চেয়েছিলেন?”

ধৃত তরুণীর আইনজীবী ফারহানা শাহ আদালতে জানায়, ছাত্রীর অধিকার কেড়েছে কলেজ। তাঁর সেমিস্টারের বাকি থাকা পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। বিচারপতি প্রশ্ন করতেই  ঢোক গিলে ছাত্রীকে বহিষ্কার করা কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, পুলিশি নিরাপত্তরা মধ্যে তরুণী পরীক্ষা দিলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। উত্তর শুনে আদালত আদালতের মন্তব্য, “ছাত্রী কোনও অপরাধি নন।” এরপরই আদালত ছাত্রীকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলে, “ছাত্রীকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে আটকানো যাবে না। এমনকী কোনও পুলিশি প্রহারার মধ্যে তাঁকে পরীক্ষা দিতে হবে না।”

এই নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিচারপতি তরুণীর কলেজকে জিজ্ঞাসা করেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য কী? কেবল মাত্র পাঠ্যবইয়ের পাঠ দেওয়া। পড়ুয়াদের সুশিক্ষত করবেন না কি, অপরাধী তৈরি করতে চাইছেন। আদালত বুঝতে পারছে আপনারা কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু ছাত্রীকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে আটকানো যাবে না।” তবে এ বিষয়ে রাজ্য নতুন করে আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছে আদালত।

হাই কোর্টে তরুণী জানিয়েছেন, যে পোস্ট ঘিরে বিতর্ক সেটি পোস্ট করার ২ ঘণ্টার মধ্যে তিনি ডিলিট করেছেন। পাশাপাশি এই পোস্ট করার পর সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে হুমকি ও আপত্তিকর মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement