Advertisement
Advertisement
Bulldozer action

সরকারি জমি জবরদখল! এবার যোগীর পুলিশের বুলডোজারের নিশানায় সম্ভলের সপা বিধায়ক

এই বুলডোজার অভিযানের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে বিরোধী শিবির।

Bulldozer action on Samajwadi MLA's orchard in UP's Sambhal

বিধায়কের বাগানে হাজির বুলডোজার।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 7, 2025 9:28 pm
  • Updated:September 7, 2025 9:28 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ সম্ভলের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক নবাব ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে। যার জেরে যোগীর পুলিশের বুলডোজারের নিশানায় উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক। অধিকৃত সাড়ে তিন বিঘা জমি পুনরুদ্ধার করতে শনিবার তাঁর বাগানে হাজির হয়েছে বুলডোজার। জানা যাচ্ছে, ১২৩ বিঘা জমি জুড়ে বিস্তৃত এই বাগান ইকবাল ও তাঁর দুই ছেলে ফয়েজ ও সোহেলের নামে রয়েছে।

Advertisement

শনিবার বুলডোজার-সহ ওই বাগানে হাজির হন স্থানীয় এসডিও, পুলিশ, সেচ ও বনবিভাগের আধিকারিকরা। দাবি করা হয়েছে, ওই জমি অবৈধভাবে দখল করার পাশাপাশি সেখানকার বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। যার জেরে বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু করেছে বনবিভাগ। অভিযানের একটিও ছবি প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই জমিতে বুলডোজার দিয়ে মাটি খোঁড়া হচ্ছে। অবৈধভাবে দখল করা জমি উদ্ধার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। বনবিভাগের আধিকারিক মনোজ কুমার জানান, সরকারি জমিতে থাকা একটি কাঁঠাল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। অবৈধভাবে গাছ কাটার জন্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আমরা মামলাও দায়ের করতে চলেছি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে সম্ভলে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার পর বড় পরিসরে ধড়পাকড় শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। চলেছে অভিযুক্তের বাড়িতে বুলডোজার অভিযান। যোগীর রোষানল থেকে রেহাই পাননি সম্ভলের সপা বিধায়কও। সেই ঘটনায় ইকবালের পুত্র সোহেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ। এরপর এই বুলডোজার অভিযানের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে বিরোধী শিবির।

তবে সুপ্রিম হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও যোগীর পুলিশের এই বুলডোজার অভিযানে যে কোনও রাশ পড়েনি তা এই ঘটনায় আবারও স্পষ্ট। উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে আইনের পরোয়া না করে বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তের বাড়ি। কড়া সুরে আদালত জানিয়েছিল, রাজ্য প্রশাসনের কোনও অধিকার নেই বিচারকের ভূমিকায় বসে অভিযুক্তর বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগেই বেসরকারি ও বাণিজ্যিক সম্পত্তিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার। এইসঙ্গে শীর্ষ আদালত বেআইনি ও দখলীকৃত নির্মাণ ধ্বংসের ক্ষেত্রে গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, বাড়ি ভাঙার কমপক্ষে ১৫ দিন আগে নোটিস দিতে হবে। করতে হবে ভিডিও রেকর্ডিং। তবে সে সবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফের যোগীর পুলিশের বুলডোজার অভিযান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ