Advertisement
Advertisement
Census

খরচ ১৩ হাজার কোটি! এবারের জনগণনায় ৬ নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন দেশবাসী

২০২৮ সালের মাঝামাঝি জনগণনার তথ্য সামনে আসতে পারে বলে অনুমান।

Census conducted in two phases at a cost of 13 thousand crores
Published by: Gopi Krishna Samanta
  • Posted:June 17, 2025 11:01 am
  • Updated:June 17, 2025 11:01 am   

বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: পূর্বঘোষণা অনুসারেই সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে গেজেট নোটিফিকেশন তথা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জনগণনা শুরুর দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দু’টি ধাপে জনগণনা করবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপটি ১ অক্টোবর, ২০২৬ থেকে শুরু হবে। এর মধ্যে ৪টি পার্বত্য রাজ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে-হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। দ্বিতীয় ধাপটি ১ মার্চ, ২০২৭ থেকে শুরু হবে। তাতে দেশের বাকি রাজ্যগুলিতেও জনগণনা শুরু হবে। ২০২৮ সালের মাঝামাঝি জনগণনার তথ্য সামনে আসতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। আগামী জনগণনায় আনুমানিক খরচ হবে ১৩ হাজার কোটি টাকা। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে একটি রিপোর্টে এ কথা জানানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের আদমশুমারিতে প্রায় ৩৪ লক্ষ গণনাকারী ও তত্ত্বাবধায়ক এবং প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার জনগণনা আধিকারিক নিযুক্ত থাকবেন।

Advertisement

এবারের জনগণনাতে ছ’টি নতুন প্রশ্ন করা হবে বলে জানা গিয়েছে, যেমন- বাড়িতে কি ইন্টারনেট সংযোগ আছে? একটি বাড়িতে কয়টি মোবাইল রয়েছে? সেগুলির মালিক কে? বাড়িতে পানীয় জলের উৎস কী? রান্নার জন্য বাড়িতে গ্যাস সংযোগ আছে? যদি থাকে তাহলে সেটা কোন ধরণের? একটি বাড়িতে কোন ধরণের যানবাহন রয়েছে সে বিষয়েও প্রশ্ন করা হতে পারে। এছাড়াও প্রশ্ন করা হতে পারে, বাড়িতে কোন ধরণের শস্য ব্যবহার করা হয়? এদিকে গত মাসেই জনগণনার সঙ্গে জাতগণনা করার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে জাত এবং জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যও এ বারের জনগণনা পর্বে সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তিনটি বিষয়ের উপর জনগণনা হবে। এক, বাড়িতে ব্যক্তিসংখ্যা, তাদের আবাস সংখ্যা ও এক আবাসে কতজন বসবাস করেন সেটা। অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যার পাশাপাশি ক’টি বাড়ি রয়েছে, তাও গণনার আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে জাতিগত জনগণনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী জাতিগত জনগণনার দাবিতে বহুদিন আগেই সরব হয়েছিলেন। বাকি বিরোধী দলগুলির তরফেও একই দাবি করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর, জাতিগত জনগণনা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এবারের জনগণনা প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ হতে চলেছে। কারণ, আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্নসংখ্যা যোগ করা হচ্ছে সমীক্ষায়। যার ফলে খরচও বাড়বে। দেশে শেষ জনগণনা ২০১১ সালে হয়েছিল। এটি প্রতি ১০ বছর অন্তর করা হয়। সেই অনুযায়ী, পরবর্তী আদমশুমার ২০২১ সালে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল। এদিকে, কেন্দ্রের তরফে জনগণনার বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই তা নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এদিনই দলের সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সব সময়ই পিছিয়ে পড়া শ্রেণি তথা ওবিসিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ