নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: নীতি আয়োগের বার্ষিক রেকর্ডে বিশ্রী ভুল। বাংলা সংক্রান্ত রিপোর্টের প্রচ্ছদে বিহারের মানচিত্র! এই ‘বিভ্রাট’ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সরব হয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত জবাব দিল নীতি আয়োগ। তাদের বক্তব্য, এটি একটি “অনিচ্ছাকৃত ভুল”। দ্রুত সেই ভুল সংশোধন করা হয় বলেও দাবি কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্বয়ের সর্বোচ্চ মঞ্চের। তৃণমূল অবশ্য কেন্দ্রের ‘ভ্রান্তিবিলাসে’র পিছনে বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে।
তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে রাজ্যসভায় কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চান ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৮ জুলাই, সোমবার লিখিত সংশোধনী প্রকাশ করে তার উত্তর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, “নীতি আয়োগের পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক রিপোর্টে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছিল। অবশ্য দ্রুততার সঙ্গে সেই ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে।” এরপরেও অবশ্য ক্ষোভ মিটছে না বাংলার শাসক দলের।
কেন্দ্রের জবাব প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভুল স্বীকার করেছেন ওরা (কেন্দ্রের বিজেপি সরকার)। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হয়েছে। বাকি রাজ্যের ক্ষেত্রে হল না! এই ত্রুটি কি কাকতালীয়?” এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “যে সময় দেশজুড়ে বাংলাভাষী মানুষের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছে, বাংলায় কথা বলাটা অপরাধে পরিণত হয়েছে… সেই সময় হঠাৎ নীতি আয়োগের রিপোর্টে বাংলার জায়গায় বিহারের মানচিত্র।” ঋতব্রতর বক্তব্য, “ওরা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি বললেও বাংলার বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বিজেপি সরকার। বাংলার মানুষ বিশ্বাস করতে রাজি নয় যে এটা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি।”
এর আগে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলেও সোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। নীতি আয়োগের ওই রিপোর্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করে সাকেতের প্রশ্ন তোলেন, “কেন্দ্র সরকার বাংলাকে মানচিত্রের সঠিক জায়গাতেই রাখতে জানে না। এটা লজ্জাজনক। বাংলা থেকে ওদের ১২ জন সাংসদ আছে, দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাও নির্লজ্জভাবে ওরা বিহারকে বাংলা হিসাবে দেখিয়েছে।” এর জন্য বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, মন্তব্য করেন সাকেত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.