সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে কার্যকর হল বিদেশি নাগরিক সংশোধনী আইন (Immigration and Foreigners Act, 2025)। ১ সেপ্টেম্বর থেকে লাগু হয়েছে এই আইন। যেখানে বলা আছে, বৈধ নথি ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে বা এদেশে থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনেকেই অবশ্য এই আইনে ছাড় পাবেন। তাঁরা কারা? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে যে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি, জৈন ও খ্রিস্টানরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বা ধর্মীয় উৎপীড়নের ভয়ে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের কাছে যদি বৈধ নথি বা পাসপোর্ট না থাকে কিংবা বৈধ নথি ও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, তা হলেও তাঁরা ছাড় পাবেন। অর্থাৎ ভারতে থাকার বৈধ নথি না থাকলেও, ওই বিদেশিদের গ্রেপ্তার করতে পারবে না পুলিশ। বরং তাঁদের শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হবে।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলেও বিধি নিয়ে জট থাকায় তা এতদিন বলবৎ করা যায়নি। ২০২৪ সালের ১১ মার্চ গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে CAA কার্যকর করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। এই আইনে বলা হয়েছে, নাগরিকত্বের আবেদন জানানোর আগে অন্তত এক বছর এবং তার আগে ১৪ বছরের মধ্যে অন্তত পাঁচ বছর যাঁরা ভারতে থেকেছেন, তাঁরাই নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হবেন। তবে এর বাইরে রাখা হয়েছে অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের বাসিন্দাদের।
১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে সিএএ-র ফারাক উসকে দিয়েছে বিতর্ক। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে কোনও ধর্মের উল্লেখ ছিল না। ২০১৯ সালে কেন্দ্র সরকার যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়েছে তাতে স্পষ্টত ধর্মের উল্লেখ আছে। আর সেখনেই আপত্তি ছিল রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী দলগুলির। উল্লেখ্য, বিদেশি নাগরিক সংশোধনী আইন কার্যকর করার বিষয়ে বিরোধীদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া ভোটকে পাখির চোখ করেই এই আইন বলবৎ করল কেন্দ্রে শাসক দল বিজেপি। কার্যত বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের জন্য রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করল কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.