সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার পাইলটদের উপর দায় চাপানোর ঘটনায় মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে ফের ফের এক হাত নিলেন কেন্দ্রীয় বেসামিরক পরিবহণ মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু। রবিবার তিনি বিদেশি মিডিয়ার প্রতি ক্ষোভ উগড়ে বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পাইলটকে দোষী করা হয়েছে।” আগেই মার্কিন সংস্থা বোয়িংকে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগে দুই মার্কিন সংবাদমাধ্যমদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে ভারতীয় পাইলটদের সংগঠন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটস।
এদিন এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)-র প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি এএআইবিকে বিশ্বাস। এএআইবি-র কাজের প্রতি আস্থা আছে আমার। তথ্য উদ্ধারে দুরন্ত কাজ করেছে তারা। এটা বিরাট সাফল্য।” দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং রয়টার্সের বিতর্কিত রিপোর্ট প্রসঙ্গে রাম মনোহর নাইডুর মন্তব্য, “এএআইবি সকলের কাছে, বিশেষ করে পাশ্চাত্যের মিডিয়া হাউসগুলির কাছে একটি আবেদন জানিয়েছে। যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।” তদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট বেরনোর আগে কোনও বিষয়ে মন্তব্য করা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিকে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত নতুন মোড় নিয়েছে। পাইলটের ভুল না বিমানের জ্বালানি সুইচ বন্ধ হয়ে যাওয়া, এই শংসয়ের মধ্যেই এবার আতশকাচের নিচে এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের লেজ। আহমেদাবাদে দুর্ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রানওয়ে ছেড়ে আকাশে ওড়ার ২৬ সেকেন্ডের মধ্যে বিমান বিপর্যয়ের কারণ জ্বালানি সুইচ বন্ধ হয়ে যাওয়া। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে বন্ধ হল ওই সুইচ? পাইলটের ভুলচুক যদি না হয়, তবে কি বিমানের লেজে বৈদ্যুতিক গোলযোগের জেরে কোনও ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ সুইচ? উত্তর পেতে নতুন করে অভিশপ্ত বিমানের লেজের যন্ত্রাংশগুলিকে পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই মেঘানিনগরে লোকালয়ে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ২৬০ জনের। তাঁদের মধ্যে ২৪১ জন সওয়ার ছিলেন বিমানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.