সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার মিড ডে (Mid Day Meal) মিলে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ! কেন্দ্রের কাছে জমা পড়া রিভিউ কমিটির রিপোর্ট ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। রিভিউ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬ কোটি মিড ডে মিলের হিসেব নেই। যার দরুণ অন্তত ১০০ কোটি টাকার গরমিল ধরা পড়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই গরমিল ধরা পড়েছে বলে খবর। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তাঁদের দাবি, রিপোর্টের তথ্য সঠিক নয়।
রাজ্যের মিড ডে মিলের হিসেব গরমিলের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রেক্ষিতে জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের অধীনে জয়েন্ট রিভিউ মিশন তৈরি হয়। তাদের রিপোর্টে গরমিল উঠে এসেছে বলে দাবি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট। বলা হয়েছে, মিড ডে মিলের সংক্রান্ত রাজ্যের দেওয়া তথ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গরমিল রয়েছে।
সংবাদ সংস্থার দাবি, ২০২২ সালের প্রথম দুই ত্রৈমাসিকের রিপোর্টে গরমিল দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ১৪০ কোটি ২৫ লক্ষ মিড ডে মিল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেলা থেকে রাজ্যের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১২৪ কোটি ২২ লক্ষ মিড ডে মিল দেওয়া হয়েছে। ১৬ কোটি মিড ডে মিল বাবদ ১০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত হিসেব দেওয়া হয়েছে।
এই রিপোর্ট তুলে ধরে টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, “আগেই বলেছিলাম। শিক্ষামন্ত্রকের জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টে ১৬ কোটি মিড ডে মিল বাবদ ১০০ কোটির অভিযোগ ধরা পড়েছে। ২০২২ সালে এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসে এই দুর্নীতি হয়েছে।”
Told you so !
A Joint Review Mission formed by , while reviewing the implementation of Midday Meal Scheme in WB found that WB Govt over reported 160 million Midday Meals worth ₹100 Crore between April & Sept 2022 by inflating the no. of beneficiaries significantly:— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB)
বিজেপি বিধায়কের অভিযোগের পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর কথায়, “যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এই ধরনের প্রকল্পগুলি কেন্দ্র-রাজ্যের সমন্বয়ে চলে। জয়েন্ট রিভিউ মিশনে রাজ্য-কেন্দ্র দু’পক্ষের প্রতিনিধি থাকার কথা। কিন্তু রাজ্যকে না জানিয়ে একতরফাভাবে এই রিপোর্ট করা হয়েছে। রাজ্যের প্রতিনিধির স্বাক্ষর নেই রিপোর্টে।” একই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যের তরফে জয়েন্ট রিভিউ মিশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টের তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
— Bratya Basu (@basu_bratya)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.