ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে অপরের সম্মতি থাকলেও যৌনতার ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর। এর চেয়ে কম হতে পারে না। সম্প্রতি এক মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই নিয়ম পকসো আইনে নাবালক ও নাবালিকাদের বিরুদ্ধে হওয়া যৌন অপরাধ রুখতে আনা হয়েছে। ফলে এই নিয়ম বদলাতে পারে না।
আদালতে লিখিতভাবে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি জানান, ‘ভারতীয় আইনে ১৮ বছর বয়সের যৌন সম্মতি অনেক ভাবনা চিন্তা করে আনা হয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে ছোটদের উপর কোনওরকম যৌন অপরাধ না হয়। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সরকার এই আইন এনেছে।’ সরকার যে বয়সসীমা নির্ধারণ করেছে তা কমিয়ে আনা এক দশক ধরে চলা আইনি অগ্রগতিকে পিছনে ঠেলে দেওয়ার সমান।’ গোটা বিষয়টি ব্যাখা করে কেন্দ্র জানিয়েছে, ১৮৬০ সালে সম্মতিতে যৌন সম্পর্কের বয়স ছিল ১০ বছর। ১৮৯১ সালে তা ১২ বছর এবং ১৯৪০ সালে ১৬ বছর করা হয়। ১৯৭৮ সালে সেই নিয়মে বদল এনে করা হয় ১৮ বছর। এই নিয়ম বদল করা যায় না।
যদিও সরকারের তরফে এটাও জানানো হয়েছে, পকসো আইনে অপরাধ রুখতে সরকার এই পদক্ষেপ করলেও বিশেষ ক্ষেত্রে বিচার বিবেচনার মাধ্যমে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। যদি সমবয়সি কিশোর-কিশোরী প্রেম ও সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক করে সেক্ষেত্রে বিষয়টিকে অন্য আঙ্গিক থেকে দেখা যেতে পারে। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই ধরনের মামলাকে ‘close in age’-এর উপর বিচার করে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। NCRB-সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের রিপোর্ট তুলে ধরে কেন্দ্র জানিয়েছে, নাবালক ও নাবালিকাদের উপর যৌন নিগ্রহের ৫০ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অপরাধী তাদের পূর্বপরিচিত। এক্ষেত্রে যদি যৌনতার বয়স কমানো হয় তবে অপরাধী নির্যাতিতার উপর চাপ সৃষ্টি করে বা পরিবারের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে বলাতে পারে এই সম্পর্ক দুই তরফের সম্মতিতে হয়েছিল। যা হবে পকসো আইনের উপর কুঠারাঘাত।
উল্লেখ্য, সম্মতিতে যৌন সম্পর্কের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছিল একটি জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। তবে সরকার ব্যাখ্যা দিয়ে এ বিষয়ে নিজেদের আপত্তি জানিয়ে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.