Advertisement
Advertisement
Mamata on Bangladesh Ganges treaty

একতরফা সিদ্ধান্ত নয়, গঙ্গা জলচুক্তি নিয়ে মমতার কথাও শুনতে রাজি কেন্দ্র

মমতার দাবি নিয়ে বিবেচনা করছে কেন্দ্র সরকারও।

Centre to listen to Mamata Banerjee on India Bangladesh Ganges treaty

ফাইল ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:June 27, 2025 2:17 pm
  • Updated:June 27, 2025 5:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গঙ্গা জলচুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার আগে বাংলার মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্র সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে তা ঠিক করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে এবং আমাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ পরামর্শে প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকি। অনুকূল পরিবেশে দুই পক্ষের জন্য লাভজনক সকল বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত।” জয়সওয়ালের এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। নাম না করলেও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি বলতে তিনি যা বুঝিয়েছেন তাতে যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও মনে করেন, গঙ্গা জলচুক্তি কেন্দ্র সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত, যা বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। নতুন করে এই চুক্তি হলে তাতে পশ্চিমবঙ্গকে বেশি জল দেওয়ার জন্য দাবি করেছেন মমতা। সরকারি সূত্রের খবর, মমতার দাবি নিয়ে বিবেচনা করছে কেন্দ্র সরকারও।

আগামী বছর গঙ্গা জলচুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। ভারতের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে দেশের অভ্যন্তরে জলের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গঙ্গা জলচুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। ৩০ বছর আগে ১৯৯৬ সালে সেই সময়কার শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মেয়াদ এমন সময় শেষ হতে চলেছে যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি একেবারেই পাল্টে গিয়েছে। বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে নয়াদিল্লির যে সম্পর্ক তাতে অনেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার মতো গঙ্গা জলচুক্তি নিয়ে নয়াদিল্লি কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেবে কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও। যদিও সে বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এদিন স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

জয়সওয়াল বলেছেন, “ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ই ৫৪টি নদী ভাগ করে নেয়, যার মধ্যে গঙ্গাও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সমস্ত প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া রয়েছে, যা হল যৌথ নদী কমিশন।” প্রসঙ্গত, আজ, শুক্রবার সংসদের বিদেশ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে ভারত বাংলাদেশ পারস্পরিক সম্পর্ককে রাখা হয়েছে। সেখানেও গঙ্গা জলচুক্তি প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে ঢাকায় দুর্গামন্দির ভাঙার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা প্রতিবেশী দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছেন জয়সওয়াল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement