সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জামালউদ্দিন ওরফে ‘ছাঙ্গুর বাবা’কে নিয়ে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গেও মজবুত গাঁটছড়া তৈরির চেষ্টা করেছিল ছাঙ্গুর। এই কাজের জন্য নেপালকে ব্যবহার করেছিল সে। এমনকী কিছুদিন আগে কাঠমান্ডুর পাক দূতাবাসে এক বিশেষ বৈঠকেরও ব্যবস্থা করা হয়। ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর, সেখানে আইএসআইয়ের বেশ কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিকও যোগ দেয়। ধর্মান্তরকরণের পাশাপাশি আইএসআইয়ের কাজে কেমন করে সুবিধা করে দেওয়া যায় সেই ব্যপারেও বিশেষ মডেল তৈরির পথে ছিল ছাঙ্গুর। উত্তরপ্রদেশে নেপাল সীমান্তবর্তী সাতটি জেলাজুড়ে হাজারের উপরে মুসলিম যুবককে নিয়ে হাদুর ধর্মান্তরকরদের বাবসা ফেঁদেছিল। ওই যুবকরা রীতিমতো মাসে মাসে তার কাছ থেকে টাকা পেত। তাদের কাজ ছিল একটাই, হিন্দু বিধবা কিংবা দরিদ্র মহিলাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের ধর্মান্তরিত করা।
এখানেই শেষ নয়, সেই ধর্মান্তরিত মহিলাদের দিয়েই নেপালে আইএসআইয়ের স্লিপার সেল চালানোর পরিকল্পনা চলছিল। এই কাজটির নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য ছাঙ্গুর নেপালের অন্য এক ধর্মগুরুর সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করছিল সে। সেখানেই আইএসআই অফিসারদেরও থাকার কথা চলছিল। কিন্তু কিছু নিরাপত্তার অভাবজনিত কারণে বিশেষ বৈঠকটি হতে পারেনি।
ছাঙ্গুরের কীর্তিকলাপ ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। আগেই জানা গিয়েছিল, তার অর্থের উৎস ছিল মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি। তদন্তকারীদের দাবি, এই দেশগুলি থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার অর্থসাহায্য পেয়েছিল সে। আর এই টাকার মধ্যেও ৩০০ কোটি টাকা এসেছিল নেপালের পথ দিয়ে। এ ভাবেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল তার ধর্মান্তরকরণের ব্যবসা। বিদেশ থেকে আসা ওই তহবিল সামলাত তার ডানহাত নীতি ওরফে নাসরিন। তাকেও গ্রেপ্তার করেছে এটিএস। এই বিদেশি অর্থের উৎস এবং এই ধর্মান্তরকরণ গ্যাংয়ের আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করতে ছাঙ্গুর বাবা এবং নাসরিনকে জেরা করছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং এনআইএ। আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছাঙ্গুর বাবার ছেলে মেহবুব এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জামালউদ্দিন নবীনকেও। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানতে পেরেছে, ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকেই আর্থিক লেনদেন করত ছাঙ্গুর। তার নিজেরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। শারজা, দুবাই-সহ বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে ছাঙ্গুরের। সেগুলিও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.