সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ‘গণতন্ত্রের হত্যাকারী’দের সুরক্ষা দিচ্ছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। বৃহস্পতিবার ‘ভোটচুরি’ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শাসকপক্ষকে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা, ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাটাবেন। সেই মতো এদিন একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনলেন রাহুল। এর মধ্যে রয়েছে কর্নাটকের একটি কেন্দ্রে ৬০০০ ‘ভোটচুরি’! এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের মতো করে প্রমাণও তুলে ধরেন কংগ্রেস সাংসদ।
এদিন রাহুল জানান, শুধু কর্নাটকই নয়, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশেও নির্দিষ্ট ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, মূলত কংগ্রেস যে বুথগুলিতে শক্তিশালী, সেখানেই পরিকল্পনা করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, শুধু ভোটার তালিকায় গোলমাল নয়, এবার বেছে বেছে কংগ্রেস সমর্থক, দলিত-আদিবাসী ভোটারদের ভোট মুছে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে ভোটার তালিকা থেকে। আর সেই কাজটা করা হচ্ছে সংগঠিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু সংস্থা এবং কল সেন্টারের মাধ্যমে। অথচ নির্বাচন কমিশন চুপ।
এরপরেই রাহুল মন্তব্য করেন, যাঁরা গন্ত্রতন্ত্রকে হত্যা করছে, তাদের রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। কর্নাটকের অলন্দ লোকসভা কেন্দ্রকে উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, রাজ্যের বাইরে থেকে সফ্টওয়্যার এবং ফোন নম্বর ব্যবহার করে ৬,০১৮টি ভোট মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। তিনি সেই ফোন নম্বরগুলিও সামনে আনেন সাংবাদিক সম্মেলনে, যেগুলিকে ভোট মুছে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেন, “গত ১৮ মাসে সিআইডি নির্বাচন কমিশনকে ১৮টি চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে অভিযুক্তদের সফ্টওয়্যার, ফোন নম্বরের আইপি অ্যাড্রেস এবং ওটিপির বিবরণ চাওয়া হয়েছিল। যদিও কমিশন ওই বিবরণ দিচ্ছে না।” বোমা ফাটিয়ে রাহুল বলেন, “কারণ এই বিবরণ সামনে এল, কান টানলে মাথাও চলে আসবে!”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.