ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ত্রিপুরায় (Tripura) ফের আক্রান্ত তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরে (TMC) যোগ দেওয়ায় একই পরিবারের চারজনকে কোপানোর অভিযোগ উঠল বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। নৃশংস অত্যাচার থেকে রেহাই পেল না শিশুও। অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও। ত্রিপুরার সুরমা বিধানসভা এলাকার বুধবার রাতের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির (BJP) নির্মম অত্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ত্রিপুরায় গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। নালিশ করতে এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের নেতৃত্বাধীন ৬ প্রতিনিধি দল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সুরমার চানকাপ বাজার এলাকায় তৃণমূলের জনসভা ছিল। সেখানেই ওই এলাকার প্রায় ৭০টি পরিবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেয় বলে খবর। এদের মধ্যে ছিলেন একই পরিবারের চার সদস্য-অবিনাশ মালাকার, বল্লভ মালাকার, তাপস মালাকার এবং দীপক মালাকার। তৃণমূলের অভিযোগ, যোগদান কর্মসূচি মিটে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মালাকার পরিবারের উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। পরিবারের অভিযোগ, লাঠি, রড, দা নিয়ে সদস্যদের উপর চড়াও হয় তারা। তৃণমূলের চার সদস্যের পাশাপাশি এক শিশুকেও কোপানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপিআশ্রিত গুন্ডাদের বিরুদ্ধে।
দুর্বৃত্তায়নকে মদত দিচ্ছে !
নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে সরকারের মদতপুষ্ট হার্মাদবাহিনী হামলা চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর।
আমাদের দলের তরফ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই গুন্ডারাজ বন্ধ করতেই হবে ত্রিপুরার বুক থেকে, জানালেন রাজ্য সভাপতি ।
— AITC Tripura (@AITC4Tripura)
রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সুস্মিতা দেব গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর কথায়, “বিজেপি নির্বাচনে তৃণমূলের মোকাবিলা করতে ভয় পাচ্ছে। তাই নৃশংস হামলা চালাচ্ছে। এমনকী, প্রশাসনও নিষ্ক্রিয়। অনেক রাত অবধি পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি।” পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন তিনি। ঘটনার নিন্দা করেছেন ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিজেপির নৃশংস হামলার প্রতিবাদে আজ থেকে ত্রিপুরাজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন তিনি। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, “এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। পারিবারিক গোলমালের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।”
এত বর্বরতা! এত নৃশংসতা!-এর জল্লাদ বাহিনীর নৃশংস হামলার সাক্ষী হয়ে রইল গোটা দেশ।
বিজেপি জনসমর্থন হারাচ্ছে বলে নিষ্ঠুরতার রাস্তা অবলম্বন করেছে। আগামীকাল থেকে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছেন স্টেট ইন-চার্জ ।
— AITC Tripura (@AITC4Tripura)
প্রসঙ্গত, অভিষেকের সফরের ঠিক আগের রাতে অর্থাৎ সোমবার আগরতলায় বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয় তৃণমূল। জিবি বাজারে পথসভা চলাকালীন বিজেপির মিছিল থেকে তৃণমূলের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে তুমুল পাথর ও ইটবৃষ্টি হয়। কোনওক্রমে রক্ষা পান কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), বাংলার মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজন আহত হন। মিছিল থেকে কটূক্তি করা হয়। স্লোগান তোলা হয়, তৃণমূল মুর্দাবাদ। কুণাল ঘোষ গো ব্যাক। তৃণমূলের স্পষ্ট বার্তা, এভাবে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.