Advertisement
Advertisement
গালওয়ান ভারত চিন

উত্তেজনা কমার ইঙ্গিত! গালওয়ানে সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সেনা সরাচ্ছে দুই দেশই

১৫ জুন রাতের সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু থেকে ২ কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চিনা সেনা।

Chinese, Indian troops pull back from clash site in Galwan

১৫ জুন রাতের সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু থেকে ২ কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চিনা সেনা।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 6, 2020 12:17 pm
  • Updated:July 6, 2020 12:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ জুনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর প্রথমবার ভারত ও চিনের মধ্যে শুরু হল শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়া। গালওয়ান (Gallowan), প্যাংগং-সহ (Pangong Tso) সমস্ত সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু থেকেই সেনা প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুই দেশ। সূত্রের খবর, ১৫ জুন রাতে যেখানে সংঘর্ষ হয়েছিল, সেখান থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চিনা সেনা। এর মধ্যে চিনের অস্থায়ী যে ছাউনিগুলি তৈরি হয়েছিল, সেগুলিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

china
গত ১৫ জুনের সংঘর্ষের পর শান্তি ফেরানো নিয়ে দুই দেশের সেনা কর্তারা মোট তিন দফায় বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর, এই ৩ দফার বৈঠকে সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধানসুত্র না বেরলেও দুই দেশই গালওয়ান-সহ কয়েকটি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যপারে ঐক্যমত হয়েছে। গত ৩০ জুনের বৈঠকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চূড়ান্ত রোডম্যাপও তৈরি হয়েছে। সেদিনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই দুই দেশ সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে বলে সূত্রের দাবি। সেনা সরানোর সময় আগেরবারের মতো সংঘর্ষ এড়াতে এবারে দুই দেশের সীমান্ত থেকে কিছুটা দূর পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে ‘বাফার জোন’। দুই দেশই এই বাফার জোনের জন্য কিছুটা করে জমি ছেড়েছে।

[আরও পড়ুন: যুদ্ধের দামামা! পাকিস্তানকে হামলাকারী চারটি ড্রোন দিচ্ছে বেজিং, মার্কিনি অস্ত্রে শান ভারতের]

উল্লেখ্য, ১৫ জুনের রাতে পাথর ছুঁড়ে, কাঁটাতার পেঁচানো লোহার রড দিয়ে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের উপর হামলা করে চিনা সৈনিকরা। শহিদ হন ২০ ভারতীয় জওয়ান। কে আগে হামলা চালিয়েছে, এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যেই চাপানউতোর রয়েছে। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) গোটা ঘটনার দায় ১৬ নম্বর বিহার রেজিমেন্টের উপর চাপিয়েছে। জানা গিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন অংশ থেকে সেনা সরাচ্ছিল দুই পক্ষই। চিন কোনও অজ্ঞাত কারণে গালওয়ান থেকে সেনা সরাতে চায়নি। যা নিয়ে দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ রক্তক্ষয়ী বেঁধে যায়। তারপর থেকেই সীমান্ত উত্তপ্ত। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এই ‘বাফার জোন’ তৈরি করা হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement