Advertisement
Advertisement
black box

কোথায় এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স? কবে উদ্ধার হবে তথ্য? মুখ খুললেন মন্ত্রী

শোনা যাচ্ছিল, দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় দুটি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি ভালোমতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Civil Aviation Minister K Rammohan Naidu has said the black box of the Air India plane is being examined
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 24, 2025 5:45 pm
  • Updated:June 24, 2025 5:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদের দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১ বিমানের ব্ল্যাক বক্সও! ওই ব্ল্যাকবক্সটির তথ্য উদ্ধারে সেটিকে নাকি বিদেশে পাঠানো হচ্ছে! একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেই খবর খণ্ডন করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু জানিয়ে দিলেন, অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির ব্ল্যাক বক্স ভারতেই রয়েছে। সেটির পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে।

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১-এর ‘ব্ল‍্যাক বক্স’-এ। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে এখন নজর সেদিকেই। দুর্ঘটনার একদিন পরে বিমানটির একটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় দুর্ঘটনার তিন দিন পর। যে হস্টেলের ছাদে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখান থেকে প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় ধ্বংসস্তূপের নিচে। দুটি ব্ল্যাকবক্সই পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডিজিসিএর কাছে।

পরে শোনা যাচ্ছিল, দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় দুটি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি ভালোমতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় প্রযুক্তিতে ওই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না। সেটিকে সম্ভবত আমেরিকায় পাঠাতে হবে। কিন্তু অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন। তিনি জানালেন, “এসবই জল্পনা। ব্ল্যাক বক্সটি ভারতেই রয়েছে। এবং সেটি এই মুহূর্তে এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) পরীক্ষা করে দেখছে।” কিন্তু কতদিনে ব্ল্যাকবক্সের তথ্য উদ্ধার সম্ভব হবে? কোনও টাইমলাইন দিতে নারাজ মন্ত্রী। তিনি বলছেন, “AAIB-কে তদন্ত করতে দিন। গোটা প্রক্রিয়া শেষ হোক, তারপর বোঝা যাবে।”

সব প্লেনেই দু’রকমের ব্ল‍্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের গ্রাসে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল‍্যাক বক্সে। মন্ত্রী আশাবাদী ব্ল্যাকবক্সের তথ্য প্রকাশ্যে এলে এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনার কারণও জানা যাবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement